কলকাতা, ১৮ অক্টোবর- কলকাতায় কি সত্যি বাড়ছে নীতি পুলিশের বেয়াদপি? পুজোর মধ্যেই সেই প্রশ্ন যেন নতুন করে চাগাড় দিল। সপ্তমীর সন্ধ্যেবেলায় উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটারে সদ্য মুক্তি পাওয়া একটি বাংলা ছবি দেখতে গেছিলেন একদল কমবয়সী ছেলেমেয়ে। সবার মতো তাঁরাও ছবি শুরুর কিছুক্ষণ আগে হলে গিয়ে বসেছিলেন। নিয়মমাফিক ছবি শুরুর আগে হলে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। সেই যুবক যুবতীদের দল সেদিন উঠে দাঁড়াননি। ব্যাস, তাতেই পরিস্থিতি বিগড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কী বলা হয়েছে, তা এতদিনে সাধারণ মানুষ জেনে গিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, হলে দর্শকরা ইচ্ছে হলে জাতীয় সঙ্গীতের সময় উঠে দাঁড়াতে পারেন, ইচ্ছে না হলে না দাঁড়াতেও পারেন। সেই নিয়ম এইদিন স্টারে উপস্থিত নীতি পুলিশদের মাথায় ছিল না হয়ত। অভিযোগ, যুবক-যুবতীদের বসে থাকা সহ্য করতে পারেননি তারা। শুরু হয়েছে গালিগালাজ। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। বার বার বাকিরা প্রকাশ্যে নানারকম হুমকি দিয়েছেন। মারতেও এসেছেন নাকি। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে, উগ্র জাতিয়তাবাদের এমন ছায়া কেন এসে লাগছে কলকাতায়। কী হয়েছিল সেদিন? সেই দলের সদস্য প্রিয়ক মিত্র জানালেন, গতকাল রাত নটা দশের শো-এ আমরা সিনেমা দেখতে ঢুকি স্টার থিয়েটারে। জাতীয় সঙ্গীত যখন বেজে ওঠে, তখন আমরা উঠে দাঁড়াই না। প্রায় তৎক্ষণাৎ উগ্রপন্থী, অশিক্ষিত, চায়নার জাতীয় সঙ্গীত বাজাতে হবে এদের জন্য এইসব মন্তব্য ভেসে আসে। মধ্যান্তরে আমাদের বান্ধবী তিস্তা আমাদের পাশের রো-এর এক ভদ্রমহিলা, যিনি আমাদের অশিক্ষিত বলেছিলেন, তাকে অত্যন্ত ভদ্রভাবেই জিজ্ঞেস করেছিল অশিক্ষিত বলার কারণ কী? ভদ্রমহিলা উত্তর দেওয়ার প্রায় আগেই সামনের রো-এর এক ভদ্রলোক প্রায় মারমুখী হয়ে বলেন বেশ করেছে বলেছে। বাকবিতন্ডা বাড়তেই থাকে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় কোনো উস্কানি ছাড়াই। প্রায় গোটা হল চড়াও হয় আমাদের ওপর। অশ্লীল গালিগালাজ, হুমকি চলতে চলতে শেষত প্রায় গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন সত্তর থেকে আশিজন। আমাদের বান্ধবী অর্কজা এবং শুভশ্রীকে নিগ্রহ করেন দুই মহিলা। এই পরিস্থিতিতে এরা হল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু এখানে একটাই প্রশ্ন মাথা চাড়া দেয়, বাংলাতে এমন জাতিয়তাবাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার শিক্ষকরা তো এতদিন ছিল না, এখন এরা উদয় হল কত্থেকে? সুপ্রিম কোর্টের আদেশকেও কী এরা মান্য করতে রাজি নয়? শুধু ভয় দেখানোই এদের কাজ? তথ্যসূত্র: আজকাল একে/০৬:৩৮/১৮ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PGRy7o
October 19, 2018 at 12:39AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top