ঢাকা, ১০ অক্টোবর- প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন কথা রেখেছেন। তার কথামতো বোর্ডে জমা পড়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল। আজ (বুধবার) বিকেলের আগেই নির্বাচকরা দল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে কথা বলে তার অনুমোদনের জন্য খেলোয়াড় তালিকা বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। প্রসঙ্গতঃ মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আগের দিনই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, যে বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে দল চূড়ান্ত করে ফেলবেন তারা। শেষ পর্যন্ত তাই করেছেন। বুধবার বিকেলেই বোর্ডে জমা পড়েছে ১৫ সদস্যের দল। এদিকে দল চূড়ান্ত করার আগে দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার আর ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন আজ দুপুরে শেরে বাংলায় বৈঠকে বসেছিলেন। এখন দল কখন ঘোষণা হবে, তা নির্ভর করছে বিসিবি সভাপতির অনুমোদনের ওপর। রাতে অনুমোদন দিয়ে দিলে আজই হয়তো দল ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। না হয় কাল হবে। এদিকে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি মন্তব্যে দল নিয়ে ভক্ত সমর্থকদের আগ্রহ বেড়ে গেছে অনেকখানি। তিনি জানিয়েছেন, দলে কিছু তরুণদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ জনের দল নতুন মুখের সমাগম ঘটার সম্ভাবনা খুব কম। এশিয়া কাপ খেলা স্কোয়াড থেকেই খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে। তবে একটি নতুন মুখ থাকার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু তামিম ইকবাল নেই, তার বিকল্প একজন ওপেনার লাগবে। আবার সাকিব আল হাসানও নেই, তার জায়গায়ও একজন বাড়তি বাঁ-হাতি স্পিনার কাম ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। এমন চিন্তা করলে টু ইন ওয়ান সাকিবের বদলেই লাগে দুইজন। তবে তা বোধকরি হচ্ছে না। একজনই সাকুল্যে দলভুক্ত হতে যাচ্ছেন। সৌম্য সরকার আর ইমরুল কায়েস দুজনই বাঁ-হাতি। এশিয়া কাপে শেষ মুহূর্তে দলে ঢোকা ইমরুল-সৌম্যর স্কোয়াডে থাকা একরকম নিশ্চিত। তাই মিডল অর্ডারে সাকিবের বদলে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের আর দরকার নেই। তারপরও ১৫ জনের দলে এশিয়া কাপ খেলা ১৭ জন থেকে অন্তত দুই বা তিনজন বাদ যাবেন। এর মধ্যে অধিনায়ক মাশরাফি, মোস্তাফিজ, রুবেলের সাথে চতুর্থ পেসার হিসেবে ছিলেন আবু হায়দার রনি প্রায় অটোমেটিক চয়েজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হয়তো দুজন পেসারও খেলানো হতে পারে, তারপরও ব্যাকআপ হিসেবে চার পেসার নিতেই হবে। স্পিনার কোটায় মেহেদি মিরাজ ও নাজমুল অপু ছিলেন, এবারও থাকবেন। এখন দেখার বিষয়, ব্যাটসম্যান কজন থাকেন। চার পেসার ও দুই স্পিনার মিলিয়ে ছয়জন নিশ্চিত। এর বাইরে মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ওপেনার লিটন দাস এখন অটোমেটিক চয়েজ বনে গেছেন। এশিয়া কাপে একজোড়া হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো মোহাম্মদ মিঠুনের দলে থাকাও অনেকটাই নিশ্চিত। ১৫ জনের দল হলে আরও তিনজন ক্রিকেটার প্রয়োজন। সেই তিনটি পজিসনের জন্য লড়াইয়ে ছিলেন বাঁ-হাতি ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত, মিডল অর্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুল হক আর আরিফুল হক। এই চারজনের মধ্যে যে কোন দুজনার বাদ পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ঠই। তবে এশিয়া কাপে সুবিধা করতে না পারলেও জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে বিগ হান্ড্রেড উপহার দিয়ে দলে অবস্থান প্রায় মজবুত করে ফেলেছেন শান্ত। এখন মোসাদ্দেক, মুমিনুল আর আরিফুলের যে কোন একজন হয়তো দলে থাকবেন। আর একজন নতুন। তিনি কে? পাঠকরা আগেই জেনে গেছেন, রাজশাহীর ওপেনার মিজানুর রহমানের, কথা। সেই তালিকায় সাদমান ইসলাম আর ফজলে রাব্বির নামও শোনা যাচ্ছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে নতুন মুখ কে হন? তার মানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সম্ভাব্য স্কোয়াড দাঁড়াচ্ছে এমন : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি ও মিজানুর রহমান। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১১:১৪/১০ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2pO6VQ0
October 11, 2018 at 05:42AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top