আরও একটি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত শর্মা। সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে হার্শেল গিবসকে স্পর্শ করলেন রোহিত। আর মাত্র দুটি সেঞ্চুরি পেলেই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীকে ছাড়িয়ে যাবেন ভারতীয় এই ওপেনার। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ ৩১১ ওয়ানডেতে করেছেন ২২টি সেঞ্চুরি। ইতিমধ্যে ১৯২ ম্যাচে ২১টি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। শুধু তাই নয়, উঠে আসবেন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা সেরা দশের তালিকায়। ৪৯টি সেঞ্চুরি করে শীর্ষে রয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। সিরিজের প্রথম খেলায় গুয়াহাটিতে ১৫২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোহিত শর্মা। এরপর দুই ম্যাচে ৪ ও ৮ রানে ফেরা ভারতীয় এই ওপেনার সোমবার খেলেছেন ১৬২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তার একার রানও করতে পারেনি উইন্ডিজ। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে ১৫৩ রানে অলআউট জেসন হোল্ডারের দল। সোমবার মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। এদিন উদ্বোধনীতে ৭১ রান যোগ করে ফেরেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৩৮)। এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচে একটি ফিফটিও করতে পারেননি ভারতীয় এই ওপেনার। অবশ্য তার আগের চার ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ধাওয়ান। আগের তিন ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ১৬ রানে ফেরান কেমার রোচ। ১০১ রানে দুই উইকেট হারানো পর তৃতীয় উইকেটে ২১১ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা ও আম্বাতি রাইডু। ১৩৭ বল খেলে ২০টি চার ও চারটি ছক্কায় ১৬২ রান করেন রোহিত। এটা তার ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার হার্শেল গিবসকে স্পর্শ করেন রোহিত। ২৪৮টি ওয়ানডে খেলে ২১টি সেঞ্চুরি করেছেন গিবস। তার চেয়ে ৫৬ ম্যাচ কম খেলে ২১টি সেঞ্চুরি করেন রোহিত। মাত্র ৮১ বল খেলে ৮টি চার ও চারটি ছক্কায় ১০০ রান করেন রাইডু। তিন বছর পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেলেন রাইডু। এর আগে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে স্টেডিয়ামে করেছেন ১২৪* রান। তার আগে ২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে আহমেদাবাদে করেছেন ১২১* রান। রোহিত-রাইডুর সেঞ্চুরির দিনেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মহেন্দ্র সিং ধোনি। এদিন ফেরেন ২৩ রানে। এ নিয়ে সবশেষ ২১ ম্যাচের মধ্যে ১৪ খেলায় ব্যাট করার সুযোগ পেলেও কোনো ফিফটি করতে পারেননি ভারতকে বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দেয়া এই অধিনায়ক। সাম্প্রতিক এই বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ে যান ধোনি। শেষ দিকে কেদার যাদবের ৭ বলে গড়া ১৬ রানের কল্যাণে ৫ উইকেটে ৩৭৭ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। টার্গেট তাড়া করতে নেমে খলিল আহমেদের গতি এবং কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ১৫৩ রানে অলআউট উইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ভারতের হয়ে তিনটি কর উইকেট ভাগাভাগি করেন খলিল ও যাদব। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল ভারত। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ভারতীয়ে ওপেনার রোহিত শর্মা। তথ্যসূত্র: যুগান্তর এইচ/২২:২৯/২৯ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PobVJV
October 30, 2018 at 04:59AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন