চট্টগ্রাম, ২৬ অক্টোবর- সাফল্যে কত কিছুই না বদলায়! এক সময় এই বাংলাদেশ যখন এর-ওর কাছে সিরিজ হারতো, তখন শেষ ম্যাচটি আকার নিতো মুখ রক্ষার লড়াইয়ে। মিডিয়ায় রাজ্যের সমালোচনা হতো। আগের রাতে হারের দগদগে ঘা নিয়ে পরদিন সাত সকালে প্র্যাকটিস করতে টিম বাসে উঠতে হতো টাইগারদের। সেই ধারাটা পাল্টে গেছে। সিরিজের পর সিরিজ হারতে হারতে তেতো হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল এখন সিরিজ জিততেও শিখেছে। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরে ফেলতেও শিখেছে। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটিও তেমনি। ঢাকায় প্রথম ম্যাচ ২৮ রানে জেতা মাশরাফির দল বুধবার রাতে বন্দর নগরীতে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে এখন পরম নিশ্চিন্ত। নির্ভার। বুধবার রাতে পাওয়া জয়ের পর ক্রিকেটাররা পুরোই ছুটির আমেজে। বুধবার যে ১১ জন খেলেছেন, তাদের সবার আজ ছুটি। মাশরাফি, লিটন, ইমরুল, ফজলে রাব্বি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মিঠুন, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজ, মিরাজ ও নাজমুল অপু টিম হোটেলে বিশ্রামে। শুধু যে চারজন একটি ম্যাচেও সুযোগ পাননি, সেই নাজমুল হোসেন শান্ত, আরিফুল, রুবেল, আবু হায়দার রনি আর শেষ মুহূর্তে দলে ডাক পাওয়া সৌম্যই শুধু ঐচ্ছিক অনুশীলনে। বাকিরা শুয়ে বসেই কাটিয়েছেন সারাটা দিন। ওদিকে সিরিজ হারিয়ে শেষ ম্যাচে সান্তনা খোঁজে সকাল সকাল প্র্যাকটিসে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটাররা। অর্থাৎ টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরি অভিব্যক্তি, কথা-বার্তা ও চলাফেরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতা ছিল আমাদের করণীয় কাজ। আমরা তা করেছি। এখন নিজেদের পারফরমেন্সের গ্রাফকে আরও ওপরে টেনে তোলার পাশাপাশি সামনের দিনগুলোয় কি করে আরও ভাল খেলা যায়, টিম পারফরমেন্স উন্নত করা যায়, সেটাই চিন্তা। অধিনায়ক মাশরাফির মাথায়ও এ সিরিজ নিয়ে কোন চিন্তা নেই। কি করলে কি হবে? কি করে জিম্বাবুয়েকে হারানো যাবে? জিম্বাবুইয়ানদের হারাতে করনীয় কি? শেষ ম্যাচের গেম প্ল্যান কি হবে, একাদশটাই বা কেমন হওয়া উচিৎ- এসব ভাবনা শেষ। তাই বলে ভাববেন না, শেষ ম্যাচ নিয়ে কোনই চিন্তা-ভাবনা নেই টাইগার অধিনায়কের। আছে। তবে সেটা ঠিক ম্যাচ জয়ের চিন্তা নয়। সে চিন্তা থাকার কোন দরকারও নেই। প্রধান অস্ত্র, দুই চালিকাশক্তি তামিম-সাকিব ছাড়াই যখন অনায়াসে পর পর দুই ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়েছে, সেই দলের বিপক্ষে তিন নম্বর ম্যাচের আগে জয় নিয়ে ভাবনারই বা কি আছে? অধিনায়ক জেনে গেছেন, তার বোঝা হয়ে গেছে এখন বাকি করনীয় কাজ কি কি ? জিম্বাবুয়ের বর্তমান দলটিকে হারানোর পর্যাপ্ত সামর্থ্য আছে তার দলের। এই বোধ হয়েছে জাগ্রত। তাই আর শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে কিছুই ভাবছেন না মাশরাফি। তাহলে শেষ ম্যাচের আগে টাইগার অধিনায়ক কি ভাবছেন? শুনবেন? তাহলে শুনুন, কাল শেষ ম্যাচের আগে মাশরাফির ভাবনায় সামনের দিনগুলোয় কি করে আগানো যায়, সেই চিন্তা। এ সিরিজের মূল লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। ওপেনিংয়ে ইমরুল ভাল খেলেছেন। লিটনও এক ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন। পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে যে লক্ষ্যে, তাও পূর্ণ হয়েছে। অপূর্ণতা বলতে শুধু ফজলে রাব্বি রান পাওয়া। দীর্ঘ সময় কথা বলে বোঝা গেল, মাশরাফি শুধু এসবই ভাবছেন। তার চিন্তায় এখন শুধু বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডটা কেমন হতে পারে, তার সম্ভাব্য রুপরেখা কি হলে ভাল হবে? ইংলিশ কন্ডিশনে কি কি দরকার? তিন পেসারতো খেলবেই, কোন এক ম্যাচে চার পেসার খেলানোরও দরকার পড়তে পারে। এখন এসব নিয়ে ভাবতে চান। আসলে তা ভাবারও যে এখনই সময়। এই জিম্বাবুয়েকে হারানো এখন আর খুব কিছু না। তাই মাসাকাদজার দলকে নিয়ে না ভেবে মাশরাফি নিজ দলের আগামীর পথচলা নিয়ে ভাবতেই অধিক আগ্রহী। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৮:১৪/২৬ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PX9CKA
October 26, 2018 at 02:14PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন