ঢাকা, ১২ অক্টোবর- তাজিকিস্তানকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করেছে ফিলিস্তিন। আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্য প্রাচ্যের রাষ্ট্রটি টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে পরাজিত করেছে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া তাজিকদের। ম্যাচ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগতিক বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও ভিনদেশী দুই দলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিল বিপুলসংখ্যক দর্শক। ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্মন্ন স্টেডিয়ামটি খেলা শুরু হবার আগেই প্রায় ভরে যায় দর্শকে। আনুমানিক ২০ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল আজকের এই ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করার জন্য। শুরু থেকে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ফিফা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিন। তবে কাংখিত গোলের দেখা পায়নি। প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়াল থেকে বার বার ফিরে আসতে হয় ফিলিস্তিনের স্ট্রাইকারদের। মাঝে মাঝে প্রতি আক্রমণ চালিয়েছে তাজিকরাও। তবে তাদেরও ফিরতে হয়েছে ব্যর্থতা নিয়ে। ম্যাচের ৭ম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তাজিকিস্তানের ফরোয়ার্ড জাহঙ্গিরের শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে এরপর থেকে বেশ কিছুটা সময় আক্রমণের পর আক্রমণ করে তাজিক শিবিরে কাঁপন ধরায় ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়রা। ১৮তম মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে ফিলিস্তিনের মিডফিল্ডার মুসার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ২৩তম মিনিটে মিডফিল্ডার বি এ রশিদের পাসে বল পেয়ে আবারো বক্সে ঢুকে জোড়ালো শট নেন মুসা। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে এ যাত্রা দলকে রক্ষা করেন। ২৫তম মিনিটে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন খালিদ সালিম। তাকে ঘিরে ধরেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। তবে দমে না গিয়ে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে ডান পায়ের শট নেন খালিদ। বল বা পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ২৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ইসলাম বতরনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৪তম মিনিটে দুই দলের মারামারিকে কেন্দ্র করে তাজিক অধিনায়ক ফাতখুলয়েভ ফাতখুলুকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করেন রেফারি। ফিলিস্তিনের মিডফিন্ডারের সামিহ মারাবার সঙ্গে বল কাড়াকাড়ির সময় পড়ে গিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন তাজিক ওই অধিনায়ক। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তাজিকিস্তান। তবে এতে দমে না গিয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে টুর্নামেন্টের শীর্ষ র্যাংকধারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ২০ ধাপ পিছিয়ে থাকা তাজিকিস্তান। প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগে গোলের দারুণ একটি সুযোগও সৃষ্টি করে তারা। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে তাজিক স্ট্রাইকার তারসুনভ কমরন ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের ভেতর দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে ভাসমান শট নিলে সেটি ক্রস বারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। বিরতির পরও মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রন ফিলিস্তিনের থাকলেও আক্রমনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল তাজিকিস্তান। একজন খেলোয়াড় কম নিয়েও তাদের ওই দক্ষতা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য গোল করার প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ফিলিস্তিন। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসের বলে হেড করতে ব্যর্থ হন গোল মুখে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিন স্ট্রাইকার সালিম। এরপর আক্রমণে নেমে পড়ে তাজিকিস্তান। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ডিফেন্ডার বাতাতের ক্রস থেকে ডি বক্সে বল পান মিডফিল্ডার মারাবা। তবে বলটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে না পেরে গোল রক্ষকের সামনে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনেও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ফিলিস্তিন ডি বক্সের লাইন থেকে ডিফেন্ডার নাজারভ আখতারের শট বারে কোণায় লেগে ফিরে আসলে বলে উল্টো শট নেন বদলী খেলোয়াড় বজরভ দিলশদ। বলটি জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোল। ম্যাচের শেষ মিনিটে গোল করার সেরা সুযোগটি পেয়েছিল দশ জনের তাজিকিস্তান। সতীর্থ আবদুগাফারভ ওইবেকের আড়াআড়িভাবে বাড়ানো বলে যথাসময়ে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন একেবারে গোলবারের সামনে পৌঁছে যাওয়া আরগাসেভ ডরবিয়ন। ফলে গোল শূন্য শেষ হয় ৯০ মিনিটের খেলা। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোল করতে পারেনি কোন দল। ফলে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচের ফলাফল। টাইব্রেকারে ফিলিস্তিন ৪-৩ গোলে তাজিকিস্তানকে হারায়। তাজিক দলের হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন কমরন ও তাব্রেজি তাবলাতমির। তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি এইচ/২২:০৮/১২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2pPS7jX
October 13, 2018 at 04:21AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন