লেবানন থেকে বাবু সাহাঃ বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ প্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। দেশের উন্নয়নের বর্তমান অবস্থান সমগ্র জাতি ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরার অভিপ্রায়ে দেশব্যাপী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে ‘উন্নয়ন মেলা-২০১৮’ আয়োজন করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় “উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে লেবাননস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ৫ অক্টোবর শুক্রবার দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে। দূতাবাসের হলরুমে বর্ণাঢ্য এই মেলার উদ্বোধন করেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার।এসময় কাউন্সিলর সায়েম আহমেদ সহ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা’ শীর্ষক এই আয়োজনে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সুস্পষ্ট চিত্র তুলে ধরা হয়।
উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এদিন দুপুরে বৈরুতের হোটেল ল্যাংকাস্টার প্লাজার বলরুমে দূতাবাস আয়োজিত “বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্জন” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক ও কূটনৈতিক রিসেপশন এর আয়োজন করা হয়।লেবাননের রাজনৈতিক, ব্যবসা, বিনিয়োগ, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রায় ৭০জন বিশিষ্ট ব্যাক্তি এ গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।সেখানে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এক দশকের সামগ্রিক উন্নয়নমূলক চিত্র তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।পরে রাষ্ট্রদূত ব্যবসায়ীবৃন্দকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহব্বান জানান।
এ দিন দূতাবাসের হলরুমসহ পুরো দূতাবাস বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র সম্বলিত বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়। এতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ সহ শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, আইসিটি, টেলিকমিউনিকেশন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন, এমডিজিতে বাংলাদেশের সাফল্য, দারিদ্র দূরীকরণের মতো আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে তুলে ধরা হয়। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন, বহির্বিশ্বে বলিষ্ঠ উপস্থিতিসহ গতিশীল পররাষ্ট্রনীতিও উপস্থাপন করা হয় এই উন্নয়ন মেলায়।উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে দিনব্যাপি দূতাবাস হলরুমে উন্নয়নের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা সহ প্রবাসীদের সমস্যার তাৎক্ষনিক সমাধান দেওয়া হয়।
এদিন বিকালে দূতাবাসের হলরুমে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার শুরুতে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার একটি রূপরেখা তুলে ধরেন। এরপর রাষ্ট্রদূত বক্তাদের কাছে দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিজেদের বক্তব্য জানতে চান। বক্তারা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং দেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্রমধারা বিশ্লেষণ করেন এবং বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নদর্শন ও উন্নয়ন কৌশল আজো আমাদের কাছে জাজ্বল্যমান এবং তার নীতি, আদর্শ ও কর্ম-পদ্ধতি অবলম্বন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা ও গতিশীল নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে উন্নত-আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। এর ফলশ্রুতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূষিত হয়েছেন ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) পুরস্কার সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে।এ বছর তিনি অভিষিক্ত হয়েছেন গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ এবং ডিস্টিংশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশিপ পুরস্কারে।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ, এই শ্লোগান নিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গঠনে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে দেশে ও প্রবাসে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়।
আলোচনার পর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে স্থানীয় প্রবাসী শিল্পীবৃন্দ। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই উন্নয়ন মেলায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর সমাগম ঘটে।
from প্রবাস – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2Qz2X9r
October 07, 2018 at 01:25AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন