নয়া দিল্লী, ২৮ নভেম্বর- অবশেষে সত্যিটা জানা গেল। ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের ড্রেসিং রুমে যে ঝড় চলেছে, তা এবার সর্ব সমক্ষে এল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিতালি রাজকে বসানোর সিদ্ধান্ত আসলে কার ছিল? হরমনপ্রীত কউরের? অধিনায়ক হিসেবে তার মত অবশ্যই শিরোধার্য। তবে এই চক্রান্তের আসল হোতা ছিলেন দলের কোচ রমেশ পাওয়ার। গত সোমবার বিসিসিআইকে এই মর্মে একটি চিঠি দিয়েছেন মিতালি। দেখা করেছেন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গেও। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়েই বোর্ডের সামনে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের কঙ্কালসার চেহারাটা তুলে ধরেছেন মিতালি। ওই চিঠিতে মূলত ভারতীয় মহিলা দলের কোচ রমেশ পাওয়ারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তার নিশানায় রয়েছেন কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিসট্রেশনের সদস্য ডায়না ইদুলজি। কোচ রমেশ পাওয়ার তাকে হেনস্থা করেছেন। আর সব জেনে শুনেও কোচের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন ইদুলজি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ মিতালি রাজের। বিসিসিআইকে দেওয়া চিঠিতে মিতালি দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন, আমার জীবনের ২০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। নিজেকে খুব হতাশ লাগছে। দলে আমার মূল্য কী, পুনরায় ভাবতে হচ্ছে আমাকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিছু মানুষ আমাকে ধ্বংস করতে চাইছে। আমার আত্মবিশ্বাস তলানিতে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছে । সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘটে চলা অবিশ্বাস্য রকম কিছু ঘটনার কথাও তুলে ধরেছেন মিতালি। ভারত জিতছে। অপরাজিত থেকেই শেষ চারের জায়গা পাকা করেছে। বাইরে থেকেই এই ছবিই দেখেছি আমরা। তবে ভিতরে ঘটে গেছে এমন আরও অনেক কিছু, যা আঁচও করা যায়নি। শুধু সেমিফাইনালেই নয় মিতালিকে আগে থেকেই বসিয়ে রাখার পরিকল্পনা না কি ছিল কোচ রমেশ পাওয়ারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছনর পর থেকেই দ্বন্দের শুরু। মিতালির অভিযোগ, কোচের এমন হাবভাব ছিল, যেন আমি দলেই নেই। এরপরের ঘটনা প্রবাহ আমাদের সবার জানা। প্রথমে ওপেনিং থেকে সরানো হয় মিতালিকে। তারপর প্রথম একাদশ থেকে বাদ। আর তারপর প্রতিযোগিতা থেকেই সরে যেতে বাধ্য হয় ভারতীয় দল। যে দল অপরাজেয় হয়ে শেষ চারে এল, তারা কি না সেমিতে দাঁড়াতেই পারল না। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন আর/০৮:১৪/২৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2KEnTKq
November 28, 2018 at 03:54PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন