সিলেট, ০৪ নভেম্বর- শুরুতেই বাংলাদেশ শিবিরে বড় ধাক্কা। দলীয় ১৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে স্বাগতিকরা। নাজমুল হোসেন শান্তর পর সাজঘরের পথ ধরলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। টেন্ডাই চাতারার বলে দুঃখজনকভাবে প্লেড অন হয়ে ফিরলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুমিনুল হক। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা শুভ হয়নি। সূচনালগ্নেই ফিরে যান ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। দুর্ভাগ্য তার। চাতারার বলে ইনসাইড এজ হয়ে ফেরেন তিনি। খানিক বাদে কাইল জার্ভিসের বলে উইকেটের পেছনে ব্রেন্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে বাংলাদেশ শিবিরে ফের তোপ দাগান চাতারা। রেজিস চাকাভার ক্যাচ বানিয়ে শান্তকে ফিরিয়ে দেন তিনি। আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। পিটার মুর ৩৭ ও রেজিস চাকাভা ২০ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। যত দ্রুত সম্ভব সফরকারীদের গুটিয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চেষ্টাও চালান টাইগাররা। কিন্তু শুরুতে সাফল্য আসছিল না। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মুর ও চাকাভা। ছন্দময় ব্যাটিং করেন তারা। বুক চিতিয়ে লড়তে থাকেন এ জুটি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। খেই হারান চাকাভা (২৮)। শর্ট লেগে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ২৬১ রানে তার বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের জমাট বেঁধে যাওয়া জুটি। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। চাকাভা ফিরতেই পথ হারায় জিম্বাবুয়ে। যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন একের পর এক ব্যাটসম্যান। খানিক পরই মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। আবারো শিকারী সেই তাইজুল। এরপর সাজঘরের পথ ধরেন ব্রেন্ডন মাভুতা। এবার প্রতিপক্ষ শিবিরে ছোবল মারেন নাগিনখ্যাত নাজমুল ইসলাম অপু। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে ফেরান তিনি। পরের দৃশ্যপটে ফের তাইজুল। মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে কাইল জার্ভিসকে ফেরান তিনি। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন বাঁহাতি স্পিনার। এদিন তাইজুলের স্পিন বিষে নীল হয়েছে জিম্বাবুয়ে। তার ঘূর্ণি কোনোভাবেই পড়তে পারেননি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। রোডেশিয়ানদের সবশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন টেন্ডাই চাতারা। সেটিও শিকার এ বাঁহাতি স্পিনারের। লিটন দাসের তালুবন্দি করে তাকে ফেরান তিনি। এতে পরীক্ষিত এ সৈনিকের শিকার দাঁড়ায় ৬ উইকেট। এ পথে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন অপু। তিনি ঝুলিতে ভরেন ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২৮২ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় লালচাঁদ রাজপুতের দল। সবাই এলে-গেলে শেষ পর্যন্ত থেকে যান মুর। এ পথে ক্যারিয়ারে চতুর্থ টেস্ট ফিফটি (৬৩) তুলে নেন তিনি। শেষদিকে তার লড়াকু ব্যাটেই এ সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারীরা। আর/১২:১৪/০৪ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2F4X2rP
November 04, 2018 at 07:48PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top