মুম্বাই, ১২ নভেম্বর- সিনেমা জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে প্রতিটি ছবি চ্যালেঞ্জিং৷ এক একটি ছবিতে এক একরকম ভাবে নিজেকে ভেঙে গড়ে তুলতে হয়৷ একটি চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেদের তৈরি করেনোবীটরা, সে কথা অনেক সময় নানা সাক্ষাৎকারে সামনে এসেছে৷ তবে কয়েকটি দৃশ্য শ্যুট করতে গিয়ে চিরজীবনের মতো সেই অভিজ্ঞতা মনে দাগ কেটে যায়৷ তেমনই ঘটেছিল আনুশকা শর্মা এবং আলিয়া ভাটের সঙ্গে৷ ধর্ষণের দৃশ্য শ্যুট করতে গিয়ে বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন তারা৷ অভিনেত্রীদের কথায়, শ্যুটিংর পর গোটা বিষয়টি মানসিকভাবে খুব চাপ সৃষ্টি করেছিল তাদের মধ্যে৷ আনুশকা শর্মার কথায়, এনএইচটেন ছবিতে আমার শ্লীলতাহানির একটি দৃশ্য ছিল৷ বাস্তবভিত্তিক ভাবে দৃশ্যটি শ্যুট করার কথা৷ তেমনটাই করেছিলাম৷ কিন্তু তারপর আমি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলাম৷ অভিনয় করছি জানি, তবুও খুব খারাপ লেগেছিল৷ দুঃখ হয়েছিল৷ বাস্তব জীবনে শ্লীলতাহানি হওয়ার খানিকটা অনুভূতি হয়ত পেয়েছিলাম৷ যার জন্যই নিজেকে সামলাতে পারিনি। অন্যদিকে, একই অভিজ্ঞা আলিয়া ভাটের। উড়তা পঞ্জাবের গণধর্ষণের দৃশ্যে বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ শ্যুটিংয়ের আগে টেকনিক্যালিটি বোঝার সময় নায়িকার কোন সমস্যা হয়নি৷ কীভাবে শ্যুট হবে, কী করতে হবে, সবটাই সুণিপুনভাবে বুঝে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ছবির শ্যুটিংয়ের সঙ্গে বাস্তব জীবন রিলেট করার পরই আলিয়ারও আনুশকার মতোই অনুভূতি হয়েছিল। দৃশ্যটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্যুট শেষ করে ফেলতে চাইছিলেন তিনি। সেইদিনের পরে সেটে গিয়েও সহপজ হতে পারতেন না আলিয়া। আর/০৮:১৪/১২ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2z3tJ3y
November 12, 2018 at 04:31PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top