নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা, সময়মতো রক্ত না পেয়ে মৃত্যু চিকিৎসকের

মালদা, ১৪ নভেম্বরঃ নিরাপত্তারক্ষীদের অসহযোগিতায় সময়মতো রক্ত পেলেন না এক চিকিৎসক। অভিযোগ, সেই কারণেই ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয় মালদা মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতালে। গোটা ঘটনায় মালদা মেডিকেল কলেজের ৪ নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের ছেলে। অভিযোগ জানানো হয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছেও। উত্তেজনার আভাস পেয়ে সকালে মেডিকেলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেডিকেল কলেজ সুপার। উলটে তাঁর অভিযোগ, গভীর রাতে  মদ্যপ অবস্থায় একদল যুবক জোর করে ওয়ার্ডে ঢুকতে যেতে চায়। নিরাপত্তারক্ষীরা বাঁধা দিলে তাদের মারধর করে যুবকরা। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

মৃতের নাম কাইয়ুম আলি (৪৬)। বাড়ি কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফিরদৌস হাজিপাড়ায়। তিনি ছিলেন একজন গ্রাম্য চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী শামিমা বিবি জানান, কয়েকদিন ধরেই জ্বর হচ্ছিল তাঁর স্বামীর। প্রথমদিকে নিজেই ওষুধপত্র খাচ্ছিলেন। কিন্তু জ্বর সারছিল না। তাই কয়েকদিন আগে তিনি মালদা শহরের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন স্বামীকে। ওই চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে ওষুধ দেন। যদিও হাসপাতালে ভরতি করার পরামর্শ দেননি ওই চিকিত্সক। কিন্তু গতকাল রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টা নাগাদ মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, তাঁর অন্তত চার বোতল রক্ত লাগবে। পরিবারের অন্য সদস্যদের জানান তিনি। তারা রক্ত দিতে হাসপাতালে যায়। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। মারধর করতে শুরু করে। এরমধ্যেই রাত ২টা ৪০ মিনিট নাগাদ মারা যান কাইয়ুম আলি।

মৃতের ছেলে মাহমাদুলের অভিযোগ, গতকাল রাতে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। যখন রক্ত দেওয়ার জন্য লোক নিয়ে সে হাসপাতালে ঢুকতে যায়, তখন তাদের আটকানো হয়। মারধর করা হয় তাঁদের। শুধু তাই নয়, তাঁর দুই দাদাকে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ সেই সময় তাঁর বাবার রক্তের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। সেটা সে জানিয়েও ছিল। উপায় না পেয়ে সে দাদাদের ছাড়াতে থানায় যায়। এরমধ্যে রক্ত না পেয়ে মারা যান তার বাবা।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2B6ROrI

November 14, 2018 at 10:52PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top