চট্টগ্রাম, ২২ নভেম্বর- পুরো মাঠে তখনো জনাবিশেক দর্শকও হয়নি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররাও সবে আড়মোড়া ভেঙে মনোযোগ দিচ্ছেন খেলায়। প্রেসবক্সেও সবকিছু গুছিয়ে নড়ে-চড়ে বসার আগেই ক্যারিবীয় ফিল্ডারদের উদযাপন, রানের খাতা খোলার আগেই দিনের তৃতীয় বলে সাজঘরে প্রায় ১৩ মাস পরে টেস্ট খেলতে নামা সৌম্য সরকার। প্রথম ওভারেই সৌম্যর বিদায়ের পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে পারেননি আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। তবে তিন নম্বরে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন কক্সবাজারের ছেলে মুমিনুল হক। ইমরুল নড়বড়ে ব্যাট করে অনেকক্ষণ উইকেটে থাকলেও সেশনের একদম শেষদিকে ফিরে যান সাজঘরে। তবে সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন লোকাল বয় মুমিনুল। এর আগে টসের সময়ই বোঝা গিয়েছে সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য স্পিন গালিচা সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কেননা স্কোয়াডে থাকা চার স্পিনারের সবাইকেই নিজেদের সেরা একাদশে নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ৯৩তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় ১৭ বছর বয়সী অফস্পিনার নাঈম হাসানের। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইনজুরি কাটিয়ে অধিনায়ক হিসেবেই দলে ফেরা সাকিব আল হাসান। কারণ ছিলো স্পিনস্বর্গে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার ঝুঁকি না নেয়া। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে কিছুই করতে পারেননি দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সৌম্য। নিজের ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কেমার রোচের বোলিংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সৌম্য। তিন নম্বরে নেমে প্রথম বলটাই ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগে মুমিনুলের। তবে রান পান একটি। সেই প্রথম বলের পর খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বাঁহাতি এ টপঅর্ডারের। উইকেটের চারপাশে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি। মাত্র ৬৯ বলে সাত চারের মারে নিজের পঞ্চাশ পূরণ করেন তিনি। সাগরিকায় আগের পাঁচ ফিফটিকেই শতকে রূপান্তর করেছেন বাঁহাতি টপঅর্ডার মুমিনুল। ষষ্ঠবারের মতো এই ভেন্যুতে পঞ্চাশ পেরুলেন। এটিকে ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারবেন কি-না তা সময়ই বলে দেবে। মুমিনুলকে সঙ্গ দিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শতরানের জুটি গড়লেও, মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগের ওভারে আউট হয়ে যান ইমরুল। নিজের পুরো ইনিংসে শুরু থেকেই ছন্দ খুজে পাচ্ছিলেন না ইমরুল। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ব্যক্তিগত ৩ রানের মাথায় স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাকে বাঁচিয়ে দেন উইন্ডিজ স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান। আক্রমণে এসে নিজের প্রথম ওভারেই ইমরুলকে স্কয়ার লেগ ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ বানিয়েছিলেন ওয়ারিকান। কিন্তু নিজে ওভারস্টেপিং করায়, নো বলের কল্যাণে বেঁচে যান বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। তবে বেশিক্ষণ থাকা হয়নি ইমরুলের। মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগের ওভারে সেই ওয়ারিকানের বোলিংয়ে শর্ট লেগে দাঁড়ানো সুনিল অ্যামব্রিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। পাঁচ চারের মারে ৮৭ বল খেলে ৪৪ রান করেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৫ রান। মুমিনুল ৫৩ রানে অপরাজিত। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১১:১৪/২২ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QbDtSX
November 22, 2018 at 06:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top