সিলেচ, ০৪ নভেম্বর- ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজের পর ব্যাটিং ভালো করায় স্তুতি গাওয়া হয়েছিল লিটন দাস, ইমরুল কায়েস এবং শেষ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকারের। তবে অষ্টম টেস্ট ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী এবং সিরিজের প্রথম টেস্টেই ব্যাটিং দৈন্যতা প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশ দলের। অভিষেকে সুযোগ পাওয়া আরিফুল হক লড়াই করে গেছেন একাই। সঙ্গীর অভাবে মাত্র ৪১ রান করে অপরাজিত থাকতে হয়েছে তাঁকে। স্পিন উইকেট বানানোর কথা শোনা যাচ্ছিল অনেক আগে থেকেই। অবশেষে দ্বিতীয় দিন তাইজুল ইসলামের বলে জিম্বাবুয়ে দল যেমন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল, তাতে মনে হয়েছিল একজন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে খেলে ভুল করেনি বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং ইনিংসে নামার পর টেন্ডাই চেতারা এবং কাইল জারভিস বল করে বাংলাদেশ দলকে দেখিয়েছেন, কীভাবে এই পিচেও পেস বোলিং দিয়ে উইকেট নেওয়া যায়। একইসঙ্গে ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দিয়েছেন অভিষিক্ত পেস অলরাউন্ডার আরিফ। কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান না হয়েও সাত নম্বরে নেমে দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। মিস্টার ডিপেনডেবল মুশফিকুর রহিম, সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ কিংবা টেস্ট স্পেশালিস্ট মমিনুল হক যখন দাঁড়াতে পারেননি, তখন বলের গুণাগুণ বিচার করে ৯৬ বল খেলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল। তাঁকে উপযুক্ত সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। যখন সিকান্দার রাজার বলে তাইজুল ইসলাম ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন, ব্যাটিং ইনিংসটা ওখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য। পরে আনুষ্ঠানিকতাও শেষ হয়েছিল আরো তিক্তভাবে। আবু জায়েদকে রানের জন্য কল দেওয়া হলে কোনো কিছু না দেখেই দৌড় দেন তিনি। ফলে যখন আরিফুল ঘুরে যেতে বলেছেন তাঁকে, ততক্ষণে রান আউট হয়ে গেছে আবু জায়েদ। ফলে টিকে থেকেও অর্ধশতক পাননি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। দলের প্রয়োজনে কীভাবে ব্যাট করা সম্ভব এমন বোলিং পিচে, সেটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আরিফুল। অভিষেকে দলের হাল ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি। পরের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেন কি না ব্যাটসম্যানরা, সেটিই দেখার বিষয়। এমএ/ ০৭:৪৪/ ০৪ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2D28W30
November 05, 2018 at 02:02AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top