ঢাকা, ২৫ নভেম্বর- ২২ টেস্টে (৪০ ইনিংস) তার নামের পাশে ৯৪ উইকেট। ৪ বছরের ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেয়ার রেকর্ডও তার জুলিতে। ২০১৪ সালের (অভিষেকের) পর বাংলাদেশ যে সাতটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে প্রতিটিতেই ছিল তার অবদান। এমনকী সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কাপল জয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু সাকিব-তামিমদের নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যত আলোচনা হয় তার ছিটেফোঁটাও হয় না তাকে নিয়ে। হ্যা, পাঠক বলছি তাইজুল ইসলামের কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক আনসাং হিরোর কথা। যার লড়াইটা নীরবে-নিভৃতে দেশের জন্য, দলের জন্য। জীবন আনন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা বনলতা সেন হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নাটোরের দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার তাইজুল ইসলাম। যার পথচলা অন্য আট-দশ জনের মতো নয়, ভিন্ন। তিনি খুব বেশি আলোচনা আসেন না। হয়তো আলোচনায় আসাটা অপছন্দের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে তুলেছেন ১১ উইকেট। এরপর ঢাকা টেস্টে সাত উইকেট এবং সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোর টেস্টেও সাত উইকেট তুলেছেন তাইজুল। হিসাব মতে, চলতি এক ক্যালেন্ডারে ৭ টেস্টে মোট ৪০ উইকেট তুলেছেন তাইজুল ইসলাম। আর বিশ্ব বোলারদের মধ্যে শীর্ষে থাকা রাবাদার চেয়ে ৬ উইকেট কম তার। এছাড়া ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন আছেন ৪৩ উইকেট নিয়ে এবং ৪১ উইকেট নিয়ে আছেন শ্রীলঙ্কার দিলরুয়ান পেরেরা। চলতি বছর রাবাদা খেলবেন একটি টেস্ট। পেরেরা খেলবেন দুটি। তবে অ্যান্ডারসন আর কোনো টেস্ট খেলবেন না। অন্যদিকে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটাই হবে বাংলাদেশ ও তাইজুলের জন্য বছরের শেষ টেস্ট। অথচ দেখুন, যাদের সঙ্গে তাইজুল প্রতিযোগিতা করছেন, তারা অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছেন। পেরেরা খেলবেন ১১টি টেস্ট, রাবাদা খেলবেন ১০টি আর অ্যান্ডারসন খেলেছেন ১২টি ম্যাচ। এই অসম লড়াইয়ে নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারেন তাইজুল, সেটাই এখন দেখার। এমএ/ ০৩:৩৩/ ২৫ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2FPfmp4
November 25, 2018 at 09:58PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন