ঢাকাই চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর জন্য তার মা (নীলা চৌধুরী) দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডন। অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনায় সেন্স অব হিউমার নামের একটি অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেছেন ডন। শুধু এই অভিযোগই নয়, নীলা চৌধুরী চরিত্র নিয়ে অনেক অশালীন মন্তব্য করেন ডন। ইতিমধ্যে সেন্স অব হিউমার নামের এই অনুষ্ঠানের ভিডিওটি এখন ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে। কেন সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন, উপস্থাপক জয়ের এমন প্রশ্নের জবাবে ডন বলেন, পারিবারিক দণ্ড ছিল। এমনকি সালমান শাহের মৃত্যুর দুই থেকে তিন বছর আগে মাকে মা ডাকতে দেখিনি। মায়ের সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক ছিল বৈরী।মায়ের প্রতি বিতৃষ্ণা ছিল সালমানের। প্রায়ই মায়ের সঙ্গে ও তার বউয়ের সঙ্গে মারামারি হতো।সালমান শাহ তার মায়ের গায়ে হাতও তুলত।তার মায়ের সঙ্গে তার সমস্যা ছিল। ২০ বছর আগে আমি অনেক ছোট ছিলাম, সালমান অনেক ছোট ছিল সালমানের মায়ের বয়সও কম ছিল উল্লেখ করে ডন বলেন, সালমানের মৃত্যুর সময়ে সালমানের মা জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। তিনি খুব জনপ্রিয় ছিল। ২০ বছর আগে আমি অনেক ছোট ছিলাম, সালমান অনেক ছোট ছিল সালমানের মায়ের বয়সও কম ছিল। এই সময়ে সালমানের মা অনেক খারাপ চলাফেরা করত। মা মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকত। এসব দেখে যে কোনো ইয়ং ছেলের মাথা ঠিক থাকবে না। তিনি বলেন,সালমানের মা এবনরমাল অবস্থায় সালমানের শাশুড়িকে ফোন দিয়ে গালাগাল করত।সালমান শুটিং শেষে বাসায় ফিরলে এসব নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো। সালমানের আত্মহত্যার পেছনে কার ভূমিকা বেশি ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে ডন বলেন,সালমান অস্থির ছিল।সালমানের পারিবারিক অশান্তি ছিল।এই অশান্তির কারণ ছিল ওর মা। মানসিকভাবে যে বিপর্যস্ত ছিল।সালমানের মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী শুধু নয়, মা-ও দায়ী ছিল।ডনের বক্তব্যে মৃত্যুর কারণ হিসেবে সালমানের মাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সালমান শাহের স্ত্রীর কথা উল্লেখ করে ডন বলেন, সালমানের স্ত্রীর (সামিরা)সঙ্গে সালমানের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।তাদের কোনো দণ্ড ছিল না। তাদের মধ্যে সুন্দর একটা প্রেম ছিল। ১৯৯৩ সালে কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় সালমান শাহর। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ২৭টি চলচ্চিত্রে। তার অভিনীত ছবির মধ্যে রয়েছে কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, দেন মোহর, তোমাকে চাই, বিক্ষোভ, বিচার হবে, চাওয়া থেকে পাওয়া, আনন্দ অশ্রু, আশা ভালোবাসা, জীবন সংসার, মহামিলন, স্বপ্নের পৃথিবী, স্বপ্নের ঠিকানা, এই ঘর এই সংসার, আঞ্জুমান, কন্যাদান, মায়ের অধিকার, প্রেম যুদ্ধ, স্নেহ, সত্যের মৃত্যু নাই, সুজন সখী, তুমি আমার, প্রিয়জন, স্বপ্নের নায়ক, বুকের ভিতর আগুন, প্রেম পিয়াসী। অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে তার আগমন।খুব কম সময়ের মধ্যে অভিনয় দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছিলেন ।তিনি ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনের ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সালমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হয়। কমরউদ্দিনের মৃত্যুর পর সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই মামলা চালাচ্ছেন। পুত্রবধূ সামিরা হক, ডন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ যে ১১ জনকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এমএ/ ০৮:৩৩/ ২৭ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2r6Oc2P
November 28, 2018 at 02:51AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top