ঢাকা, ১০ নভেম্বর- জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সিনেমা তৈরির অনেক আয়োজন আর পরিকল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে এখনও। তবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও সুরাহা না হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে তৈরি প্রথম কোনও চলচ্চিত্র এবার সত্যি সত্যি আলোর মুখ দেখছে। ট্রেলার চমকের পর হাসিনা, অ্যা ডটারস টেল নামের ডকুফিল্মটি মুক্তি পাচ্ছে ১৬ নভেম্বর। খবরটি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করলেন নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু। তিনি জানান, প্রথম সপ্তাহে চলচ্চিত্রটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের চারটি হলে মুক্তি পাচ্ছে। এগুলো হলো, ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও মধুমিতা। আর চট্টগ্রামে মুক্তি পাচ্ছে সিলভারস্ক্রিন মাল্টিপ্লেক্সে। কিন্তু এত কম প্রেক্ষাগৃহে কেন! জবাবে নির্মাতা পিপলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আসলে শুরুতে আমরা ছোট পরিসরেই শুরু করতে চাই। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাই। একসঙ্গে নয়, সারাদেশে পর্যায়ক্রমে দেখাতে চাই। সেই পরিকল্পনা আছে আমাদের। ছবিটির পোস্টারএর আগে হাসিনা, অ্যা ডটারস টেল ছবিটি নিয়ে চমকের প্রথম সূত্রপাত হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিনে। এদিন হুট করেই অন্তর্জালে প্রকাশ পায় হাসিনা, অ্যা ডটারস টেল শিরোনামের একটি সিনেমার ট্রেলার। যেটি দেখার পর বেশ চমকিত হন দর্শক-সমালোচকরা। কারণ, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন একটি কাজ হতে পারে, সেই ভাবনা সম্ভবত কারও মধ্যে ছিল না। জানা গেছে, অনেকটা নীরবেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মজীবনী নিয়ে নির্মিত হলো এই ডকুফিল্ম। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও অ্যাপেলবক্স ফিল্মস-এর যৌথ প্রযোজনায় এটি নির্মিত হলো। ছবিটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন সাদিক আহমেদ। ছবিটি নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, এটা অলমোস্ট আমাদের পাঁচ বছরের পরিশ্রমের ফসল। যদিও শুরুতে এমন কিছু করবো ভাবিইনি। শুরুতে আমরা চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর পারসোনাল অ্যাকটিভিটিগুলো রেকর্ড করে রাখতে। যার তেমন কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। বছর দুই পরে এসে মনে হলো এটা নিয়ে অসাধারণ কিছু করা যায়। কারণ, উনার পুরো লাইফটা এত বেশি ড্রামাটিক, সেটা সবাই জানেন। এখানে আমি তাঁর সেই ছোট ছোট জীবনের গল্পগুলোকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করেছি। ছবির ট্রেলারটা অসাধারণ, আন্তর্জাতিক মানের। তবে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিও বেশ অস্পষ্ট। এমন কৌতূহলের বিপরীতে নির্মাতা বললেন, এই ডকুফিল্মে যদি প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান, তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি, দর্শক হিসেবে আপনি হতাশ হবেন। পরিচালক হিসেবে ব্যর্থ হবো আমি। কারণ, এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাবা-মেয়ের গল্পও বলতে পারেন। যে গল্প আমাদের ভাবাবে, কাঁদাবে, খুশি করবে, গর্বিত হওয়ার কারণ হবে। জাতি হিসেবে আমাদের এই আড়ালে থাকা অসাধারণ গল্পগুলো জানা দরকার। এবং আমি মনে করি এই কাজটি করার মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে জীবনের বড় সুযোগটি পেয়েছি। নির্মাতা জানান, হাসিনা, অ্যা ডটারস টেল ডকুফিল্মটির দৈর্ঘ্য ৭০ মিনিট। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের দেখা যাবে। উঠে আসবে শেখ হাসিনার সাধারণ জীবনের অসাধারণ কিছু মুহূর্ত। যেখানে তিনি কখনও মেয়ে, কখনও মা, কখনও বোন আর কখনও আমজনতার নেত্রী হিসেবে দেখা দেবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা। ভাই-বোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। এমইউ/১০:৫৯/১০ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Pmwlna
November 10, 2018 at 04:58PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন