লন্ডন, ১৩ নভেম্বরঃ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ফিরিয়ে নিল আং সান সু কিকে দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার ‘অ্যাম্বাসাডর অফ কনসায়েন্স’। সোমবার সংস্থার সেক্রেটারি জেনেরাল কুমি নাইডু একটি টুইটে এই বিষয়ে জানান। তিনি মায়ানমারের নেত্রীকে লেখা একটি চিঠিও পোস্ট করেন টুইটে। সেখানে সম্মান প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মানবাধিকার প্রশ্নে সু কি তাঁর আগের নৈতিক অবস্থানের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ২০০৯ সালে গৃহবন্দী থাকার সময় সু কি-কে এই সম্মানে ভূষিত করে অ্যামনেস্টি।
কুমি নাইডু সু কিকে লেখা চিঠিতে বলেন, “আজ আমরা গভীরভাবে হতাশ হয়েছি যে আপনি আশা, সাহস এবং মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন না। আপনার বর্তমান অবস্থার কারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘অ্যাম্বাসাডর অব কনসায়েন্স’ প্রাপক হিসেবে আপনাকে মান্যতা দেয় না এবং তাই আমরা খুব দুঃখের সঙ্গে আপনার কাছ থেকে এই সম্মান প্রত্যাহার করছি।”
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, মায়ানমারের পশ্চিমে রাখাইন প্রদেশে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মারা গিয়েছে। চলেছে নির্যাতন ও ধর্ষণ। সেনার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেলনি সু কি। আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্তে বারে বারে অসহযোগিতা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা এবং ‘অপব্যবহারের আন্তর্জাতিক তদন্তে বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অনেক মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের এখনও আটক করা হয় মায়ানমারে। গত মাসে রোহিঙ্গাদের হয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আং সান সু কি-র থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় কানাডা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে পাওয়া অসংখ্য ছোটো পুরস্কারও হারিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ধিকৃত সুকির আচরণ। তাতে অবশ্য পরোয়া করছেন না একদা মানবতার মুখ সুকি। নিজের সিদ্ধান্তেই অটল তিনি।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2za6W5Y
November 13, 2018 at 01:24PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.