ঢাকা, ১১ নভেম্বর- জাতীয় ক্রিকেট দলে নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে। মাঠ ছেড়ে ক্যাপ্টেন ব্যস্ত থাকবেন রাজনীতির মাঠ জুড়ে। তবে নির্বাচন নিয়ে যাদের নাম শোনা গেছে এরমধ্যে শুধু মাশরাফি বিন মুর্তাজা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সাকিব আল হাসানের নাম শোনা গেলেও তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন। এদিকে মাশরাফির এভাবে রাজনীতিতে জাড়ানো নিয়ে চলছে আলোচনা আর সমালোচনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে মাশরাফি ভক্তসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণির ক্রীড়ানুরাগীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তবে খেলা ছেড়ে রাজনীতিতে কেন? এমন প্রশ্নে এখনো মুখ খোলেননি মাশরাফি। তিনি রোববার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র কেনেন। নিজ জেলা নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর শহরের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি। আওয়ামী লীগের প্রেস উইং বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশে এবারের প্রথম ঘটনা কোনো খেলোয়াড়মাঠ থেকে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে। এনিয়ে বিবিসি বাংলা একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড়ের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিসিবির কি কোনো বিধিনিষেধ রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, মাশরাফি তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর তিনি খেলা থেকে রিটায়ার করবেন। এটা কোনো নিয়ম নাই যে কোনো ক্রিকেটার রাজনীতি করলে খেলতে পারবেন না। ইউনুসের মতে, এটা যার যার সাংবিধানিক অধিকার। উনি যদি মনে করেন যে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি খেলাতেও পারফর্ম করতে পারবেন, তাহলে আমাদের কোন নিয়ম নাই যে আমরা তাদেরকে কোন বাধা দিতে পারবো। তাছাড়া মাশরাফিকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এক মাস দেড় মাস ব্যস্ত থাকতে হবে। বাকিটা তিনি ম্যানেজ করে নেবেন। এদিকে প্রিয় ভক্তের এমন রাজনীতি নিয়ে সরব সোশ্যাল মিডিয়া। বিভিন্ন গণমাধ্যমও বেশ ফলাও করে এসব সংবাদ প্রকাশ করছে। তথ্যসূত্র: যুগান্তর আরএস/ ১১ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2T5j2Wy
November 12, 2018 at 03:45AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন