জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুব সহজেই জয় তুলে নিবে বাংলাদেশ, সিলেট টেস্ট শুরুর আগে এই বিশ্বাসই ছিল সবার। পাঁচ বছর ধরে টেস্টে জয় খরায় ভুগছিল জিম্বাবুয়ে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও তাদের সুখকর নয়। কিন্তু সেই দলটার কাছেই কিনা এক দিন বাকি থাকতেই ১৫১ রানে হার বাংলাদেশের। তাও নিজেদের মাঠে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেকে নিদারুণ হতাশার গল্প লিখেছে টাইগাররা। এমন হারে প্রশ্নও উঠছে অনেক। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট কারণ খুঁজতে গিয়ে বলছেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেই এই হার। সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন মাঠে অ্যাপ্লিকেশনই ভুল ছিল টাইগারদের। সিলেট টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দেয়। তবে স্বাগতিকদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩২১ রানের। যা পেরুতে রেকর্ড গড়তে হতো টাইগারদের। কিন্তু ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এমন হারের পর পরিবর্তন ডটকমকে খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, এই পারফরম্যান্স কিছুতেই আশানুরূপ নয়। কেননা আমরা আশা করেছিলাম বাংলাদেশ দল খুব সহজেই জিতবে। ফিল্ডিং বা বোলিং সব ঠিক আছে। কিন্তু এই ম্যাচে হারের পুরো কারণটা ব্যাটিং ব্যর্থতা। ম্যাচে বোলারা তাদের কাজটা সত্যিই দুর্দান্ত করেছে। ২০ উইকেট নিয়েছে প্রতিপক্ষের। বেঁধে রেখেছে অল্প রানে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেনি দুই ইনিংসের কোনোটিতেই দুইশ পেরুতে। পাইলট বলছেন, ব্যাটিংয়ে দুটি ইনিংসেই আমরা ভালো করতে পারিনি। টেস্টে যেভাবে খেলা দরকার আমরা সেভাবে খেলতে পারিনি। ব্যক্তিগতভাবে কেউ ভালো রান করতে পারেনি। দুই ইনিংস মিলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান মাত্র ৪৩। যেটা ইমরুল কায়েসের। ২০টা উইকেটের মধ্যে আমরা কেউ কিছুই করতে পারিনি। কোনো জুটিও গড়তে পারিনি। অথচ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল বলে মনে করেন পাইলট, জিম্বাবুয়ে যে টিম, আমাদের হোম গ্রাউন্ডে খেলা, সবকিছু মিলে আমাদের এক ইনিংস ব্যাটিং আর ওদের দুই ইনিংস ব্যাট করা দরকার ছিল। তারপরও আমি বলবো ক্রিকেটে এমন দিন আসে। কিন্তু আমাদের মনে হয় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে এমনটা হতে পারে। ম্যাচ হারায় এখন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের অভাবটাও সামনে চলে আসছে। তবে পাইলট এই বিষয়টিকে সামনে আনতে চান না, সাকিব-তামিমকে ছাড়াই যারা খেলেছে তাদের নিয়েই এই ম্যাচগুলো আমাদের এক ইনিংস ব্যাটিং করা উচিত। আমরা হয়তো বলতে পারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা কিছুটা অনভিজ্ঞ। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওরা কতটা অভিজ্ঞ? এখানে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আছে। আমরা যে লেভেলে নিয়মিত খেলি... আমাদের মান ওদের চেয়ে সবদিক থেকেই ভালো। সাবেক এই অধিনায়ক যোগ করে বলেন, যদি ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা হতো তাহলে বলতাম সাকিব-তামিমকে দরকার ছিল। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে হারাতে এই টিমটাই যথেষ্ঠ। কিন্তু আমাদের যারা আছে তারাই ভালো করতে পারেনি। অনভিজ্ঞরা যেমন ব্যর্থ হয়েছে অভিজ্ঞরাও তেমনই। অ্যাপ্লিকেশনে ভুল ছিল, আমরা ভুল খেলেছি সবাই। এমএ/ ১০:৪৪/ ০৬ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JIKSDD
November 07, 2018 at 04:39AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top