সিলেট, ০৪ নভেম্বর- জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে আটকানো গেলেও প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনেও অব্যাহত সেই ব্যর্থতা। ১১৬ রান তুলতে তুলতে নেই ৭টি উইকেট। খেলতে নেমে ১৯ রানে ফেরেন ৪ ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ে পেসার টেন্ডাই চাতারার বোলিংয়ে হয় শুরুর সর্বনাশ। তার আগ্রাসী বোলিংয়ে ৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট পতন ঘটলে পুরোপুরি ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আরেক পেসার কাইল জার্ভিসও ছিলেন তার সঙ্গী। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে চাতারার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইমরুল (৫)।বলটি ভেতরের কোনায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। পরের শিকার অবশ্য আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস (৯)। এবার কাইল জার্ভিতের বাইরের বলে লুজ শট খেলতে গিয়ে জমা পড়েন উইকেটকিপার চাকাভার হাতে। নতুন নামা নাজমুলকেও (৫) থিতু হওয়ার সুযোগ দেননি চাতারা। শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারায় ব্যাটের কোনায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপারের হাতে। বিপদে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে নেমেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বিপদ দূর করার বদলে উল্টো আরও চাপে পড়ে যায় তার দ্রুত বিদায়ে। নেমে মাত্র দুই বল খেলে চাতারার বলেই বোল্ড ফিরে গেছেন শূন্য রানে! মাঝে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক মিলে ৩০ রানের জুটি গড়েন। হাল্কা প্রতিরোধ দেওয়া এই জুটি ভাঙে মুমিনুল ১১ রানে ফিরলে। দলীয় ৪৯ রানে সিকান্দার রাজার বলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়ার বাংলাদেশের ইনিংসের দিশা খোঁজার চেষ্টায় ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও আরিফুল হক। এই জুটিতেই নির্ভর করছিলো অনেক কিছু। তাদের জুটি ২৫ রান পার হওয়ার পর তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় বলে মনোযোগ হারিয়ে বসেন মুশফিক। কাইল জার্ভিসের লাফিয়ে ওঠা বলে আউট সাইড এজ হয়ে ৩১ রানে গ্লাভসবন্দী হন। তখন বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ৭৮ রান। আরিফুল হক অপর প্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন এরপরেও। নতুন নামা মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে পার করেন শত রান। এই জুটি আশা জাগালে আবারও ঘটে সর্বনাশ। ২১ রানে ব্যাট করতে থাকা মিরাজ বোলার শন উইলিয়ামসের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরান সাচজঘরে। আরিফ ব্যাট করছেন ২৫ রানে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে সফল ছিলো বাংলাদেশ। প্রথম দিন বাংলাদেশের বোলিংয়ে প্রতিরোধের দেয়াল দিয়ে খেললেও এদিন ছিলো ভিন্ন চিত্র। স্পিারদের ঘূর্ণিতে সেই দেয়ালে ফাটল ধরতে থাকে একের পর এক। তাতে প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই জিম্বাবুয়েকে ২৮২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্পিনার তাইজুলের ঘূর্ণিতে তারা পুরোপুরি খেই হারিয়েছে এদিন। নিয়েছেন ৬ উইকেট! দ্বিতীয় দিন ১২ ওভার পর আসে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সাফল্য। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রথম দিনের মতো পিজে মুর ও রেগিস চাকাভা মিলে প্রতিরোধ দিচ্ছিলেন বড় সংগ্রহ পেতে। ১০৩তম ওভারে তাইজুলের বলেই অবশেষে ধরা দেন রেগিস চাকাভা। শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন নাজমুলের হাতে। ২৮ রানে ফিরে যান সাজঘরে। দিনের শুরুতে তার ও চাকাভার জুটিটি ছিলো ৩৫ রানের। তাইজুলের ঘূর্ণিজাদু এরপর থেকেই শুরু। নতুন নামা কোনও ব্যাটসম্যানকেই পথের কাঁটা হতে দেননি। তেমন ধারাতে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকেও বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি তাইজুল। ২৮ বল খেলা ওয়েলিংটনকে ৪ রানেই গ্লাভসবন্দী করান। তবে অপর প্রান্ত আগলে ছিলেন পিজে মুর। দৃঢ় চেতা ব্যাটিংয়ের উদাহরণ হয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। চার মেরে তাইজুলের ওভারে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপর স্পিনার নাজমুল ইসলামের আঘাতে ব্রেন্ডন মাভুতা। ৩ রান করা মাভুতাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাজমুল। দিনের শুরুটায় ঘূর্ণিজাদুতে শুরু করা তাইজুল লেজ ছেঁটে দেন পর পর দুই উইকেট নিয়ে। কাইল জার্ভিসকে প্রথম স্লিপে তালুবন্দী করিয়ে পরের বলে সাজঘরে ফেরান চাতারাকে। তাইজুল ১০৮ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। দুটি নিয়েছেন নাজমুল, একটি করে মাহমুদউল্লাহ ও আবু জায়েদ। এমএ/ ০৪:০০/ ০৪ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2F1GMYt
November 04, 2018 at 10:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন