সিলেট, ০৬ নভেম্বর- জিম্বাবুয়ে বোলারদের জবাব পাচ্ছেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। একের পর এক আসছেন আর যাচ্ছেন। সবশেষ যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার শিকারী ব্রেন্ডন মাভুতা। তার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। শেষ খবর পর্যন্ত প্রথম সেশন শেষে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে স্বাগতিকরা। ৩ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য এখন দরকার ২১০ রান। ইতিহাস বলছে, এ পরিস্থিতি থেকে জিততে হলে অসাধ্য সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে। গড়তে হবে দুটি অনন্য রেকর্ড। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হবে টাইগারদের। আগের রেকর্ডটি ২১৫। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ রান তাড়া করে জেতে টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের। ২০০৮ সালে ৩১৭ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয় কিউইরা। এবার জিততে হলে তাই একইসঙ্গে দুটি রেকর্ড নতুন করে লিখতে হবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনীকে। তৃতীয় দিন আলোকস্বল্পতায় ১৩.৫ ওভার কম হওয়ায় এদিন নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে (সকাল সাড়ে ৯টা) খেলা শুরু হয়। আগের দিনের ২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন বাংলাদেশ দুই ওপেনার ইমরুল-লিটন। চতুর্থ দিনের শুরুতে এক্সট্রা বাউন্স পান পেসাররা। বাড়তি টার্ন পান স্পিনাররা। কিছু বল আপ-ডাউন করে। ফলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। যথাসম্ভব বলের গুণাগুণ বজায় রেখে খেলার চেষ্টা করেন লিটন। তা সত্ত্বেও হার মানতে হয় তাকে (২৩)। সিকান্দার রাজার এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন তিনি। ক্রিজে নেমেই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মুমিনুল হক। অতি রোমাঞ্চপ্রিয়তার খেসারতও গুনতে হয় তাকে। কাইল জার্ভিসের আউটসুইঙ্গারে প্লেড অন হয়ে ফেরেন তিনি। শুরু থেকে রোবটের মতো চেষ্টা করেন ইমরুল কায়েস (৪৩)। তবে হার মানতে হয় তাকেও। রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এতে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেই চাপের মধ্যে ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফের শিকারী রাজা। তার বলে শন অরভিনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এমইউ/১২:৪৫/০৬ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2APvBy3
November 06, 2018 at 06:44PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন