মুম্বাই, ০১ নভেম্বর- বি-টাউনের মিস্টার পারফেকশনিস্ট এবং শাহেনশাহের জলসা৷ সেখানেই ক্যাটরিনার আগমনে বদলে গেল জলসার চিত্র৷ মুক্তি পেল ঠগস অফ হিন্দোস্তানর নতুন গান মঞ্জুর-এ-খুদা৷ ছবির আর পাঁচটা গানের মতো সাধারণ নয়৷ গানের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ছবির গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্লট ট্যুইস্ট৷ আমির এবং অমিতাভের দমদার কইছু অ্যাকশন সিক্যুয়েন্স৷ তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন ফতিমা সানা সইখও৷ এরই মাঝে ক্যাটরিনার জয় গান মঞ্জুর-এ-খুদা৷ ঠগস অফ হিন্দোস্তান নিয়ে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। একজনের স্বভাব প্রতারণা আরেকজনের সততা৷ সেই থেকেই তৈরি হয়েছে লড়াই ময়দান৷ খুদাবক্সের সঙ্গে ফিরাঙ্গির মুখোমুখি সংঘর্ষের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ৷ তবে খুদাবাক্সের তলোয়াড়ের এক কোপে কি হার মানবে ফিরাঙ্গি? এরই মাঝে উত্তাল সমুদ্র। জ্বলছে জাহাজ। তার মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল চার ঠগেরা। মুখে হিংসা আর কঠোরতার ছাপ। কেউ দাঁড়িয়ে তির-ধনুক নিয়ে, তো কেউ তলোয়াড়। এমনই ছিল ঠগস অফ হিন্দোস্তান এর চিত্র৷ ভক্তদের অনুমান ছিল ছবির চার চরিত্র অমিতাভ, আমির, ক্যাটরিনা এবং ফাতিমা মিলে একসঙ্গে লড়বে শত্রুদের বিরুদ্ধে৷ এরই মাঝে পাশাবদল৷ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়তে দাঁড়িয়ে রইল খুদাবক্স এবং জাফিরা৷ শত্রুপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে ফিরাঙ্গি৷ অন্যদিকে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির মালিক জন ক্লাইভকে নিজের শরীরি আবেদনে ভোলাতে সুরাইয়া একাই একশো৷ বাইজির পরিচয় সেখানে থাকলেও সুরাইয়াও একজন ঠগ৷ খুদাবাক্সকে আজাদ বলেই চেনে শত্রুদের দল৷ আজাদের সঙ্গে যুদ্ধে নামতে গেলে তাঁরি মতোন শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান যোদ্ধাই চাই৷ সেই থেকেই খুঁজে বের করা হল ফিরাঙ্গিকে৷ কে জিতবে অবশেষে? উত্তর লুকিয়ে ৮ নভেম্বরের৷ এই দিনেই মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি৷ এই ছবিতে প্রথমবার ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে আমিরকে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে ফিকশনের এখনও পর্যন্ত সেরা উদাহরণ বাহুবলী। দুটি ভাগে মুক্তি পেয়েছিল রাজামৌলির ছবিটি। আঞ্চলিক সিনেমা হলেও রেকর্ড ব্যবসা করেছিল মাহেশমতি সাম্রাজ্যের কাহিনি। এবার তাকেও টক্কর দিতে চান প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। তাই খরচ যাই হোক, নিজের পিরিয়ড ড্রামাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কোনও আপস করতে রাজি নন প্রযোজক। এই সিনেমার জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত দুই জাহাজ। যা প্রায় একবছর ধরে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইউরোপের মাল্টা উপকূলে এই জাহাজ দুটি তৈরি করার জন্য প্রায় হাজার শ্রমিক এক বছর ধরে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। তৈরি হওয়ার পর দুটি জাহাজের ওজন হয়েছে দুই লক্ষ কিলোগ্রাম। আগামী ৮ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ একে/০৫:১৮/০১ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OhUxSn
November 01, 2018 at 11:16PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন