ঢাকা, ১১ নভেম্বর- সিলেট টেস্টের ধারাবাহিকতাই যেনো ঢাকায় বয়ে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সে ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে হারতে হয়েছিল ১৫১ রানের ব্যবধানে। সে ধারা বজায় রেখে ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছে দলের টপঅর্ডার। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান। দিনের প্রথম সেশনেই সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনজন। মধ্যাহ্ন বিরতির আগপর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ কেবল ৩ উইকেটে ৫৬ রান। তবে মাত্র ২৬ রানে তিন উইকেট পতনের পরে চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার মিশনে এখনো পর্যন্ত সফল দলের দুই ভরসার পাত্র মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। লাঞ্চ ব্রেক পর্যন্ত দুজন মিলে যোগ করেছেন ৩০ রান। মুমিনুল ২৫ ও মুশফিক ১২ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামবেন। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন ইমরুল। ১৫টি বল মোকাবেলা করেও ব্যর্থ হন রানের খাতা খুলতে। ইনিংসের ৭ম ওভারের চতুর্থ বলে, নিজের মুখোমুখি ১৬তম ডেলিভারিতে জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে স্রেফ কচুকাটা করেছিলেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে গড়েছিলেন নতুন রেকর্ডও। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছেন না ৩১ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যর্থতার পরে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন ইমরুল। তার দেখাদেখি খানিক পরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার লিটন দাসও। ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ইমরুলের মতো অত নড়বড়ে না হলেও কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারাদের সুইংয়ের বিপক্ষে পেরে উঠছিলেন না লিটন দাসও। তবে রয়ে-সয়ে ৩৪ বল খেলে দেন তিনি। ইনিংসের ৯ম ওভারে জার্ভিসের বোলিংয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ৩৫ বল থেকে ৭ রান করতে সক্ষম হন লিটন। ওয়ানডে ক্রিকেটে পয়েন্ট অঞ্চল দিয়েই নিয়মিতই অনেক রান করেন তিনি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে লাল বলের ক্রিকেটে তিন স্লিপ ও গালি ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে পয়েন্ট অঞ্চলে রান করাটা যে কঠিন কাজ তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। যার ফলে হয়েছে যা হওয়ার তাই। নিজের অভিষেক ম্যাচে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। দশ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে উইকেটে এসেছিলেন মিঠুন। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান তিনি। নিজের অভিষেক ইনিংসে মাত্র ৪ বল খেলতে পেরেছেন মিঠুন। ডানহাতি পেসার ডোনাল্ড তিরিপানোর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে। দেশের ইতিহাসের বিশতম ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির দেখান তিনি। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১২:১৪/১১ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OHCLby
November 11, 2018 at 07:03PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top