২০১৭ সালের আগস্টে বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি জমান নেইমার। ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে ফ্রান্সের দলটি যোগ দিয়ে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড হয়ে যান বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। সে সময় স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো জানায়, লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে সেরা হবার জন্যই বার্সা ত্যাগ করেছেন সাম্বা তারকা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ, লিগ ওয়ানের দলটিতে অভিষেক হবার পর পরই সব ধরনের বড় দায়িত্ব নিজের আয়ত্বে নিতে থাকেন নেইমার। এতেই সঙ্গে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোল দাতা এডিনসন কাভানির সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়াতে হয় তাকে। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের সঙ্গে নেইমারের দ্বন্দ্ব নিয়ে গণমাধ্যমের মুখরোচক শিরোনাম যখন মুখরিত। ঠিক সে সময় মাঠেই পেনাল্টি-ফ্রি কিক করা নিয়ে দুজন তর্কে জড়ান। যদিও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ব্রাজিলের অধিনায়কই। গত শুক্রবার রাতে লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দুই দল যখন মাঠের লড়াইয়ে নামে তখন স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ নজর থাকে ফুটবল প্রেমিদের। তার মধ্যে লাতিন আমেরিকার ছন্দময়ী ফুটবল নৈপুণ্য দেখার আলাদা আকর্ষণতো রয়েছেই। যদিও হতাশ হতেই হয়েছিল দর্শকদের। পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি। ওই ম্যাচে মোট ফাউলের সংখ্যা ছিল ৩৮টি। উরুগুয়ে ৬টি আর ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের দুটি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। ৭৩তম মিনিটে নেইমারের পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে সাইড লাইনে বল দখলের লড়াই করতে গিয়ে কাভানি পিএসজির সতীর্থ নেইমারকে ফাউল করেন। এসময় লাসেলেস্তে তারকা হলুদ কার্ড দেখতে হয়। কাভানি নেইমারকে টেনে তোলার চেষ্টা করনে। তবে নেইমার তার সাহায্য নিতে অস্বিকার করেন। পিএসজির দুই তারকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফের শুরু হয় আলোচনা। যদিও বিষয়টি নিয়ে মোটেও দুঃখিত নন এডিনসন কাভানি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, যখন দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো খেলতে নামে, স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। নেইমারের ঘটনাটি নিয়ে ৩১ বছর বয়সী তারকা বলেন, এগুলো খেলার অংশ। ব্রাজিলের মতো বড় দলের প্রতিপক্ষ হওয়াটা আনন্দের। দলটি নেইমারদের মতো খেলোয়াড়রা আছেন সেটার জন্যই প্রতিদ্বন্দ্বীতাও বেড়েছে। জয়ের জন্য আমারা মাঠে নামি উল্লেখ করে এই স্ট্রাইকার বলেন, আমার মনে হয় ব্রাজিলের মতো দলের বিপক্ষে খেললে ইতিহাস গড়া যায়। কেউই তাদের সঙ্গে হারতে চাইবে না, এটাই স্বাভাবিক। ফুটবল মাঠে কোনো প্রীতি ম্যাচ হয় না জানিয়ে কাভানি বলেন, অনেক সময় তীব্র প্রতিযোগিতা জন্য মাঠে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়। তবে ম্যাচ শেষ হবার পরপর সব সেখানেই শেষ হয়। মাঠের বাইরে যেতেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে পড়ে। তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন আরএস/ ১৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2DvF9jH
November 18, 2018 at 11:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন