কলকাতা, ১৭ নভেম্বরঃ এই প্রথম রাজ্যের কোনো সরকারি হাসপাতালে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হচ্ছে। এসএসকেএম থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে হৃদযন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রিন করিডর করে মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয় হৃদযন্ত্র।
শুক্রবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে পূজালির বাসিন্দা বছর তিরিশের সৈকত লাট্টুর ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এরপরই তাঁর পরিবারের কাছে মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রাথমিক সংশয় কাটিয়ে একমাত্র সন্তানের মরণোত্তর অঙ্গদানে সম্মতি দেন সৈকত লাট্টুর বাবা স্বদেশ লাট্টু।
রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অরগানাইজেশনের পক্ষ থেকে অঙ্গ গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়। খবর আসে, সৈকতের হৃদযন্ত্রের ম্যাচিং গ্রহীতা চিকিৎসাধীন রয়েছেন মেডিকেল কলেজে। হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা রয়েছে ৩৮ বছরের রাখাল দাসের। বেশ কয়েকদিন ধরে মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন তিনি। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, তাঁকেই সৈকতের হৃদযন্ত্র দান করা হবে।
কিডনি এবং লিভার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে প্রতিস্থাপিত হলেও হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হয়নি। উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কয়েক মাস আগেই হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করার ছাড়পত্র পেয়েছ।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, আজ রাখাল দাসের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে রয়েছেন ১২ জন চিকিৎসকের একটি দল। অস্ত্রোপচার হতে সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘণ্টা। চিকিৎসকেরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2Fq0zB2
November 17, 2018 at 06:05PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন