ঢাকা, ১৫ নভেম্বর- মিরপুর টেস্টে ৩৬৭ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৪ রান, এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। পঞ্চম দিন ৪৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। উইকেটে অপরাজিত আছেন ব্রেন্ডন টেইলর (১৫) এবং সিকান্দার রাজা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ২৩তম ওভারের শেষ বলে মেহেদি মিরাজ ফিরিয়ে দেন ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজাকে (৬৮ বলে ২৫)। ২৬তম ওভারে ব্রায়ান চারিকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। দলীয় ৭০ রানে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। বিদায়ের আগে চারি ৮২ বলে করেন ৪৩ রান। পঞ্চম দিন ব্যাটিংয়ে নামা শন উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। বোল্ড হওয়ার আগে উইলিয়ামস করেন ১৩ রান। ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশন শেষে স্বাগতিকদের লিড বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪২ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। কাইল জারভিসের বলে ব্রেন্ডন মাভুতার হাতে ধরা পড়ার আগে ইমরুল করেন মাত্র ৩ রান। দলীয় ৯ রানের মাথায় বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। এক বল পরেই জারভিস বোল্ড করেন লিটন দাসকে (৬)। পরের ওভারে বিদায় নেন গত ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে উইকেটের পেছনে রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন মুমিনুল (১)। দলীয় ১০ রানে বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। দলীয় ২৪ রানের মাথায় বিদায় নেন গত ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। তিরিপানোর বলে মাভুতার তালুবন্দি হওয়ার আগে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। এরপর জুটি গড়েন অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুন এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। সেশন শেষে চার উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের লিড বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৬ রান। দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতির পর বিগ হিট খেলতে শুরু করে টাইগাররা। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় বিগ শট খেলতে গিয়ে সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন। বিদায়ের আগে ১১০ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় মিঠুন করেন ৬৭ রান। দ্রুত বিদায় নেন আরিফুল হক (৫)। উইকেটে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১২২ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় দলপতি করেন ১০১ রান। মেহেদি মিরাজ (২৭) অপরাজিত থাকেন। দুজন মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ৫৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। তাতে, জিম্বাবুয়ের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৪৩ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৪২১ বলে ১৮টি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২১৯ রান। মুমিনুল হক ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকান। ২৪৭ বলে ১৯টি বাউন্ডারিতে করেন ১৬১ রান। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ২৬৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। আর মেহেদি হাসান মিরাজ ১০২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক-মিরাজ মিলে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিস ৫টি উইকেট দখল করেন। ১৬০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৫২২ রান। এরপর ইনিংস ঘোষণা করে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৫.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ে ৩০৪ রান তোলে। ব্রেন্ডন টেইলর ১৯৪ বলে ১০টি চারের সাহায্যে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ১১০ রান। ওপেনার ব্রায়ান চারি ৫৩ আর হ্যামিলটন মাসাকাদজা ১৪ রান করেন। ১১৪ বলে ১২টি চার আর একটি ছক্কায় ৮৩ রান করেন পিটার মুর। তাইজুল সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে তুলে নেন আরও ৫টি উইকেট। মিরাজ পান তিনটি উইকেট। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে গাজী টিভি। বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, খালেদ আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আরিফুল হক এবং তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চারি, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেগিস চাকাভা, ব্রেন্ডন মাভুতা, ডোনাল্ড তিরিপানো, কাইল জারভিস এবং তেন্দাই চাতারা। আর/০৮:১৪/১৫ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OJEixN
November 15, 2018 at 04:10PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top