গাড়ি আটকেছে পুলিশ, বিজেপি সমর্থকদের ছোড়া ঢিলে আহত এএসপি

ধূপগুড়ি, ৭ ডিসেম্বরঃ বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। ঘটনায় গুরুতর আহত আহত জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীন) সহ প্রায় ১৭ জন পুলিশ কর্মী, ৩ জন বাস যাত্রী ও সরকারি বাসের কন্ডাক্টর। অভিযোগ, শুক্রবার কোচবিহারে ঝিনাইডাঙায় বিজেপির সভায় যোগ দিতে যাওয়া সমর্থকদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায়। ধূপগুড়ি ব্লকের জুড়াপানি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, কোচবিহারে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগে থেকেই বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি জলপাইগুড়ির বিভিন্ন থানা এলাকায় আটকে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ধূপগুড়ি থানা এলাকায় প্রচুর সমর্থক চলে আসায় তাদের আটকে দেওয়া হয় জুড়াপানির নাকা চেকিং পয়েন্টে। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিজেপি সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিশকর্মীরা নাকা পয়েন্টের ঘরে আশ্রয় নেয়।

অভিযোগ, প্রথম থেকেই বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা আক্রমণ চালানোর লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়ে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নাকা পয়েন্টের ঘর থেকে বাইরের পরিস্থিতি দেখতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীন) ডেন্ডুপ শেরপা উকি দিয়েছিলেন। তখনই ঢিল এসে তার চোখে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ধূপগুড়ি থানার আইসি সুবীর কর্মকার ও নিরাপত্তা রক্ষী উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে প্রাণ বাঁচাতে ধূপগুড়ি থানার এসআই দিলীপ সরকার একটি স্টেট বাসে আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিশকে টার্গেট করতে গিয়ে স্টেট বাসে ভাঙচুর ও যাত্রীদের মারধর করা হয়। বাসের কন্ডাক্টর সাগর মন্ডলের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। পাথর বৃষ্টির মধ্যে ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন ধূপগুড়ির ট্রাফিক ওসি অসীম মজুমদার, এসআই সুনীল বর্মনও।

পুলিশকে মারধর করতে দেখে গ্রামবাসীরা হাতে লাঠি নিয়ে ময়দানে নামে। এর মধ্যে পুলিশ দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতেই উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। পরে নাকা পয়েন্টের ঘর থেকে বাইরে এসে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খবর পেয়ে বানারহাট, নাগরাকাটা ও জেলা পুলিশ লাইন থেকে বাড়তি পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

বিজেপি জেলা সভাপতি দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের লোকেদের ছোড়া ঢিলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় বিজেপি-র কেউ জড়িত নয়। জলপাইগুড়ি জেলা তৃনমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। আগে কখনও এসব জেলায় এমন ঘটনা দেখা যায়নি। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

সংবাদদাতাঃ শুভাশিস বসাক

 



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2EjvKgg

December 07, 2018 at 09:12PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top