ইউপিএ-র আমলেও নজরদারি চলত ৯ হাজার ফোন ও ৫০০ ইমেলে!

নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বরঃ ২০১৩ সালে প্রতিদিন অন্তত ৯ হাজার ফোন ও ৫০০টি ইমেলে নজরদারি চালানো হত। বিষয়টি সামনে এসেছে একটি আরটিাই-এর মাধ্যমে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে উদ্দেশ্য করে জানানো হয়েছে, ‘ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিদিন গড়ে ৭,৫০০-৯,০০০টি নির্দেশনামা জারি করত কেন্দ্রীয় সরকার।’ অন্য একটি আরটিআই অনুযায়ী, ‘ইমেলে নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৫০০টি নির্দেশনামা জারি করা হত।’

সেই আরটিআই-তে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন কোন তদন্তকারী সংস্থা নজরদারি চালাতে পারবে? জবাবে বলা হয়, ‘ইন্টেলিজেন্স বিওরো(IB), রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং(R&AW), নারকোটিকস কন্ট্রোল বিওরো, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস(CBDT), ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স(DRI), সেন্ট্রাল বিওরো অফ ইনভেস্টিগেশন(CBI), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(NIA), দিল্লি কমিশনার অফ পুলিশ ও ডিরেক্টরেট অফ সিগনাল ইন্টেলিজেন্সের মতো সংস্থা নজরদারি চালাতে পারবে।’ আরটিআই-এর জবাবে বলা হয়, ১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট ও ২০০৭ সালের টেলিগ্রাফ(সংশোধনী) রুলকে সামনে রেখে কমিউকেশনের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে।

২০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, এবার থেকে ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দেশের যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে। যা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘নতুন নির্দেশিকায় পুরনো আইনের কথাই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।’

 

 



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://bit.ly/2SfZGND

December 22, 2018 at 10:21PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top