ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর- মিরপুর স্টেডিয়ামেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কাজটা সেরে রেখেছিলেন মাশরাফি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে খেলতে নেমে হাবিবুল বাশারের সর্বোচ্চ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছিলেন। এবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি। টস করতে নামলেই বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার কীর্তি গড়বেন তিনি। বর্তমানে ৬৯ ম্যাচ নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডে হাবিবুল বাশারের সঙ্গে অবস্থান মাশরাফির। এবার নতুন মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে গর্ব বোধ করছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। পরিসংখ্যানে সমান থাকলেও সাফল্যর দিক দিয়ে অনেক আগে সাবেক অধিনায়ককে ছাড়িয়ে গেছেন। সর্বোচ্চ ৩৯ জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের সেরা ওয়ানডে অধিনায়ক এখন মাশরাফি। হাবিবুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ২৯ ম্যাচে। তৃতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের জয় ৫০ ম্যাচে জিতেছে ২৩ টি। সেই হিসেবে শুক্রবারের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির ৭০তম ম্যাচ। এতসব রেকর্ড, মাইলফলক নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলেও এ বিষয়ে বরাবরই নির্লিপ্ত থেকেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তবুও বৃহস্পতিবারর সংবাদ সম্মেলনে নিজের অনুভূতি জানালেন গর্বের সঙ্গে, এটা আমার এবং পরিবারের জন্য খুব গর্বের। বাংলাদেশ দলকে অনেক সময় ধরে নেতৃত্ব দিতে পেরেছি, এর চেয়ে ভালো লাগা অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না। কাল (শুক্রবার) যদি মাঠে নামতে পারি তাহলে ওয়ানডে ফরম্যাটে সবথেকে বেশি অধিনায়কত্ব করার সুযোগ হবে। এটা অবশ্যই আমার জন্য অনেক ভালো অনুভূতির ব্যাপার। তবে এতসব কিছুর চেয়েও মাশরাফির কাছে গুরুত্ব দলের একতা। এই মন্ত্রেই দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বার বার, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই দলে ১১ জনের একজন হয়ে থাকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন সদস্য হয়ে থাকা সত্যিকার অর্থেই আমার জন্য গর্বের। ২০০১ সালে অভিষেকের পর ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে এই পর্যায়ে এসেছেন মাশরাফি। বহুবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন, আবার ফিরে এসেছেন সময়ের দাবি মেনে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদশ দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথমবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। যদিও ইনজুরিতে প্রথম দফায় নেতৃত্ব স্থায়ীত্ব হয়নি খুব বেশি দিন। ওই দফায় তার নেতৃত্বে সাতটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যান। ফের ২০১৪ সালে ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে নেতৃত্বে এসে দেশের ক্রিকেটকে বদলে দেন। নিজেই জানালেন সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা, অধিনায়কত্ব নিয়ে যেমন আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। দুবার অধিনায়কত্ব পেয়েছি। শুরুতে এক-দুই-তিন বা চার-পাঁচ (আসলে সাতটি ম্যাচ) ম্যাচ পর ইনজুরিতে পড়ে গিয়েছি। পরের বার আবার একই পরিস্থিতি। অধিনায়কত্ব আমার ইস্যুতে ছিল না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলা। পরে যখন দায়িত্ব পেয়েছিলাম তখন অনেক কিছু ভাবিনি। আর প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যখন পাই, তখন কিছু প্রত্যাশা করেছিলাম।টেস্ট ক্রিকেটে তখন পুরো ছন্দে খেলেছি। ২০০৮ সালে খুব ভালো ফর্মেও ছিলাম। লাল বল নিয়ে অনেক আশা ছিল। সবশেষ দায়িত্ব পাওয়ার পরের অবস্থা নিয়ে তিনি জানান, ২০১৪ সালে যখন আবার পাই তখন নিজেকে নিয়ে ভবিষ্যতে চিন্তা করা বা খেলোয়াড় হিসেবে নিজে কোনো কিছু সেট করতাম না। চলতে থাকুক যতদিন চলতে থাকে-এভাবেই ভেবেছি। এভাবে করতে করতেই প্রায় চার বছর হয়ে গেল। এমএ/ ১৮:০৫/ ১৩ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PA7GXu
December 14, 2018 at 12:06AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন