ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর- মাঠে তারা হিরো। নৈপুণ্যের দ্যুতিতে আলো ছড়ান। সে আলোতে স্টেডিয়াম হয় আলোকিত। দর্শক ভক্তরা হন পুলকিত, উদ্বেলিত। কিন্তু জানেন কি? বিশ্বের অনেক বড় বড় মাঠ মাতানো ফুটবলার-ক্রিকেটারের আছে অদ্ভূত রকমের ভয়-ভীতি। অনেক বড় তারকারই আছে বিমান ভীতি। বিশেষ করে বিমানের বাম্পিংয়ে বুক কাঁপে অনেক বড় তারকার। শুনলে অবাক হবেন, সেই তালিকায় ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের অন্যতম ডেভিড বেকহ্যাম এবং ডাচ ফুটবলের সোনালি দিনের উজ্জ্বল তারকা ডেনিস বার্গকেম্পের নামও আছে। তারা ঝাঁকুনির ভয়ে বিমান ভ্রমণ এড়িয়ে সড়কপথে যাতায়াত করেন। বাংলাদেশেরও এক শীর্ষ তারকার আছে বাম্পিং-ভীতি। আকাশে মেঘ ও বাতাসের কারণে অনেক সময় বিমানে বড় ধরণের ঝাঁকুনি হয়, সে ঝাঁকুনি ভয় ধরায় এমন এক ক্রিকেটারকে, যার বোলিংয়ের ভয়ে কম্পমান অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানও। বলুন তো, তিনি কে? অনুমান করতে পারছেন? ক্রিকেটারটি আর কেউ নন বাংলাদেশের সুপারস্টার মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিমানের বাম্পিংয়ে ভয় তার আগে থেকেই। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে বাম্পিং ভীতির কারণে বিমানে চড়ে ওয়েলিংটনে যাননি মাশরাফি। নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওয়েলিংটন। বিশ্বের সবচেয়ে জোরে বাতাস বহতা শহরও। এ শহরে সারা বছর গড়ে প্রতি ঘন্টায় ২৬ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়। বাতাস বেশি বলেই এখানে বিমান ওঠা নামায় বাম্পিং বেশি। শুধু বেশি বললে কম বলা হবে, ওয়েলিংটনে যে কোন ফ্লাইট অবতরণের আগে বাতাসে কাপেনি এমন ঘটনা প্রায় বিরল। ছোট আর বড় নেই, যে কোন বিমান ওয়েলিংটন বিমান বন্দরে নামতে গিয়ে কাঁপে। সেই বাম্পিংয়েই রাজ্যের ভয় মাশরাফির। সেবার মাউন্ট মোঙ্গানুয়ের বে ওভাল মাঠে প্র্যাকটিসের পর ওয়েলিংটন বিমান বন্দর নিয়ে কথা উঠতেই মাশরাফি বলেছিলেন, ভাই আমি জীবনেও কোনদিন ওয়েলিংটন বিমান বন্দরে নামতেই পারবো না। ২০০১ আর ২০০৮ দুই দুই বার যে রকম বিমান বাম্পিং করেছে, তাতে আমার কম্প কাবার হবার যোগার। আমি পণ করে রেখেছি জীবনে কখনই ওয়েলিংটন বিমান বন্দরে প্লেনে অবতরণ করবো না। ওরে বাবা কি যে ভয়ঙ্কর ! বিমান কাপবেই। আর বাম্পিং করে কখনো কখনো একবারের এক থেকে দেড়শো ফুট নীচে নেমে যায়। খুবই ভয় লাগে আমার। আমি ঐ রকম বাম্পিংকে সত্যিই খুব ভয় পাই। বুক কাপে। প্রয়োজন হয় ঘুরে যাব, ট্রানজিট থাকলে অন্য শহর দিয়ে যাব, তবু ওয়েলিংটন নয়। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে সিলেট যাবার আগেও সেই বাম্পিং ভীতি পেয়ে বসেছে মাশরাফিকে। আগেই শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, কোনো ছোট এয়ারক্রাফটে সিলেট যাব না আমি। ওগুলোতে ঝাঁকুনি বেশি লাগে। বিমানের বড় ফ্লাইট হলে সমস্যা নেই। কিন্তু কোনো ছোট ফ্লাইটে উঠব না। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর ড্রেসিংরুম থেকে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে আসার পথে মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামকে সে কথাই বলছিলেন মাশরাফি। তাৎক্ষণিকভাবে রাবিদ মাশরাফিকে জানিয়েছিলেন, বুধবার বিকেলে বড় ফ্লাইট পাওয়া না গেলে বৃহস্পতিবার সকালে বিমানের ফ্লাইট ব্যবস্থা করা হবে। কাজেই চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে মাশরাফি চিন্তামুক্ত। আজ সকালে রাবিদ ইমাম এ প্রতিবেদককে জানালেন, দল শেষ পর্যন্ত বড় ফ্লাইটেই যাচ্ছে। আজ বিকেল ৩.৪৫ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিলেটে যাবে জাতীয় দলের বহর। সে বহরে মাশরাফিও থাকছেন। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১২ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2RQuvrS
December 12, 2018 at 08:18PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন