মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ইউপি সদস্য কর্তৃক চেয়ারম্যানের উপর হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। আটককৃতরা হচ্ছেন, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম (৩৫), তার বড় ভাই আব্দুস ছালাম (৪০) ও ছোট ভাই আব্দুল কাদির (৩০)। আজ রোববার লামাকাজী পয়েন্টে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার উপর আবুল কালাম মেম্বার গংরা হামলার করলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত (২৫নভেম্বর) রোববার বরাদ্দ নিয়ে পরিষদের এক সভা অনুষ্টিত হয়। কিন্তু ওই সভায় আবুল কালাম মেম্বার অনুপস্থিত ছিলেন। এনিয়ে (২৮নভেম্বর) বুধবার পরিষদে গিয়ে সচিবের সাথে আবুল কালাম মেম্বার অশুভ আচরণ করেন। সচিবের উপর তার ওই অশুভ আচরণের কারণে রোববার পরিষদে জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়। আর ওই সভা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ফেরার পথে চেয়ারম্যানের উপর হামলা করেন আবুল কলাম মেম্বার গংরা। এসময় তারা জনতার রোশনলে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করেন পরিষদের অপর সদস্য এনামুল হক এনাম ও ফয়সল আহমদসহ অনেকেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও জানা যায়, চেয়ারম্যান ধলা মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সভা আহবান না করে কর্মসৃজনের কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করেন। একটি প্রকল্পের সভাপতি করা হয় আবুল কালামকে । মেম্বার আবুল কালামকে না জানিয়ে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদন করায় মেম্বার আপত্তি উত্থাপন করেন। এতে চেয়ারম্যান ধলা মিয়া উত্তেজিত হয়ে আজ রবিবার ইউনিয়নে একটি সভা আহবান করেন এবং মেম্বার আবুল কালামকে কৌশলে সভায় উপস্থিত করা হয়।
প্রকল্প অনুমোদনে কেন আপত্তি করা হয়েছে এনিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারের সাথে তর্ক বির্তকে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মেম্বারকে মারপিট শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও তার ২ভাই এগিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এতে চেয়ারম্যানের উপর ও হামলা করা হয়। চেয়ারম্যানের লোকজন জড়ো হয়ে মেম্বার ও তার ২ ভাইকে আটকে রাখলে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক লামাকাজি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে এমন তথ্য পায়।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের বরাদ্ধের ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আরও জানাযায়, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সিরাজ উদ্দিনের বয়স না হলেও চেয়ারম্যান তাকে বয়স্কো ভাতা দিয়েছেন এবং ইউনিয়নের টেক্সের সাথে অনলাইন চার্জ ১৫০ টাকা করে চেয়ারম্যন লোকজনের নিকট থেকে নিয়ে আত্মসাথের বিষয়ে মেম্বারের সাথে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।
এঘটনায় চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, পরিষদের জরুরী সভা শেষে ফেরার সময় আবুল কালাম মেম্বার তার উপর হামলা করে পকেটে থাকা নগদ ৫০হাজার টাকা ও ২৫হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
তবে আটককৃত আবুল কালাম মেম্বার তার উপর সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের ঘোষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান তার উপর সন্ত্রাসী নিয়ে আক্রমন করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন- ঘটনার খবর পেয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও তার দুই ভাইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2KPWyVy
December 02, 2018 at 06:28PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন