সিলেট, ১৭ ডিসেম্বর- টেস্ট ওয়ানডেতে ধরাশায়ী হলেও নিজেদের পছন্দের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে অনায়াসে হারিয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তারা ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ১০.৫ ওভারেই। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ ওভারেই তারা করে ফেলে ১ উইকেটে ৭৩ রান। ওয়ানডে সিরিজে হারলেও নিজেদের পছন্দের ফরম্যাটে কোন ছাড় দেয়নি ক্যারিবীয়রা। ওপেনার শাই হোপের নেতৃত্বেই তৈরি হয় জয়ের মূল মঞ্চ। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে আসে ৯১ রান। এই ৯১ রানই পাওয়ার প্লেতে টি-টোয়েন্টির দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। আরও দুই দল একই স্কোরের কীর্তি গড়েছে এর আগে। ওপেনার শাই হোপের সঙ্গে এভিন লুইসও মেরে খেলতে থাকেন। তবে হোপই ছিলেন সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। এর মাঝে চতুর্থ ওভারে সাইফের ওভারে প্রথম বলে ছক্কা মেরেছিলেন লুইস। পরের বলেও উঠিয়ে মারতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত বিদায় নেন ১৮ রান করে। তবে অপরপ্রান্তে নিজের স্বভাবসুলভ ঝড় অব্যাহত রেখেছেন হোপ। ওয়ানডেতে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো শাই হোপ টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করার কোনও সুযোগ দেননি বাংলাদেশকে। ১৬ বলেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। অষ্টম ওভারে ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যানকে বিদায় দেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ফেরেন ৫৫ রানে। এরপর বাকি কাজ দ্রুত শেষ করেন কিমো পল ও নিকোলাস পুরান। সাকিবের ১১তম ওভারে দুটি ছয় ও একটি চারে জয় নিশ্চিত করেন কিমো পল। পল অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে। আর পুরান ২৩ রানে। এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকরা সবকটি উইকেট হারিয়ে করে ১২৯ রান। বৃষ্টি শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরুতে সমৃদ্ধ স্কোর বোর্ড গড়ার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলো বাংলাদেশ। যদিও শুরুর চিত্রটা ছিলো বিবর্ণ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বিদায় নেন ৪ উইকেট ব্যাটসম্যান। প্রথম পাওয়ার প্লের ভেতরে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। ২৫ রান আসা এই জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ খোঁচা মারতে গেলে। ১১তম ওভারে কট্রেলের বল খোঁচা মারতে গেলে ক্যাচ লুফে নেন কিপার। শুরুতে আম্পায়ার আউট দিলেও থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। সেখান থেকেও মেলেনি কোনও সুসংবাদ। অপর প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন সাকিব। আরিফুল নামলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। কিছু বাউন্ডারি মারলেও মাঝে ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে রান আসছিলো না স্কোর বোর্ডে। তেমন পরিস্থিতিতে অ্যালেনের বলে সুইপ করতে গিয়ে সরাসরি ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন আরিফুল।। বিদায় নেন ১৭ রান করে। সাকিবকে অবশ্য রুখতে পারেনি ক্যারিবীয় বোলাররা। চাহিদা মতো রান তুলতে থাকেন অপরপ্রান্ত আগলে। তুলে নেন অষ্টম হাফসেঞ্চুরি। তার হাফ সেঞ্চুরির পর নতুন নামা সাইফ বড় শট খেলতে গিয়ে বিদায় নেন ১ রানে। যোগ্য সঙ্গী না পেলেও একাই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন। তার একার লড়াইয়েই রানে উঠে স্কোর বোর্ডে। ১৮তম ওভারে ৪৩ বলে ৬১ করে ফেলা সাকিব কট্রেলের শর্ট বলে তার হাতেই তালুবন্দী হয়ে ফেরেন। তার ইনিংসে ছিলো ৮টি চার ও ২টি ছয়। সাকিবের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে রান তুলতে পারেননি বাকিরা। বাংলাদেশ ১৯ ওভারেই অলআউট হয় ১২৯ রানে। ম্যাচসেরা হন ৪ উইকেট নেওয়া শেলডন কট্রেল। এছাড়া দুটি উইকেট নেন কিমো পল। এমএ/ ০৫:৪৫/ ১৭ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2S74p3W
December 17, 2018 at 11:50PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন