শীঘ্রই ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের কবলে পড়তে পারে হিমালয়ঃ গবেষণা

নয়াদিল্লি, ১ ডিসেম্বরঃ হিমালয় পর্বতমালায় বড়সড় ভূমিকম্পের ভবিষ্যৎবাণী বিজ্ঞানীরা আগেই করেছিলেন। ভারতীয় গবেষকদের আরও একটি গবেষণায় আরও জোরদার হয়েছে এই আশঙ্কার কথাই। বেঙ্গালুরুর জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের সিসমোলজিস্ট সিপি রাজেন্দ্রনের নেতৃত্বাধীন নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে চাপের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় হিমালয়ে যে কোন সময় ৮.৫ বা তার বেশি মাত্রার একটি অথবা একাধিক ভূমিকম্প ঘটতে পারে।

‘জিওলজিকাল জার্নালে’ প্রকাশিত এই গবেষণা অনুযায়ী, গবেষকরা সমকালীন তথ্য এবং পশ্চিম নেপাল এবং চরগালিয়ায়(ভারত লাগোয়া নেপাল সীমান্তে অবস্থিত) অবস্থিত মহানা খোলার ও স্থানীয় তথ্য যাচাই করেছে। এই তথ্য কেন্দ্রীয় হিমালয়ের শেষ চ্যুতির সময় নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়েছে।

গুগল আর্থ এবং ভারতীয় স্পেস এজেন্সি ইসরোর কার্টোস্যাট-১ স্যাটেলাইটের চিত্রাবলী ছাড়াও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা প্রকাশিত স্থানীয় ভূতত্ত্ব ও কাঠামোগত মানচিত্র অনুসরণ করেছেন গবেষকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৩১৫ থেকে ১৪৪০ সালের মাঝামাঝি ৮.৫ বা তারও বেশি তীব্রতার বিশাল ভূমিকম্প কেন্দ্রীয় হিমালয়ে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (ভাতপুর থেকে মোহনা খোলা পার করে বিশাল সিসমিক প্রভেদ) দৈর্ঘ্যের একটি প্রসারণ ঘটিয়েছে। যার গড় চ্যুতির পরিমাণ ১৫ মিটার।

বর্তমান গবেষণায় বোঝা যাচ্ছে যে, দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের সিসমিক প্লেটগুলি শান্ত রয়েছে। এই বিশাল ভূমিকম্পের পরে কেন্দ্রীয় হিমালয়(ভারতের এবং পূর্ব নেপালের অংশগুলিতে বিস্তৃত) ৬০০ থেকে ৭০০ বছর ভূকম্প থেকে প্রচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। যত দিন বাড়ছে এই অঞ্চলে ভূপৃষ্টের উপরে চাপ বাড়ছে। কেটে ফেলে হচ্ছে গাছগাছালি। ফলে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে।

কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন জিওফিজিসিস্ট রজার বিলহ্যামও ভারতীয় গবেষকদের এই ফলাফলকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন। বিলহ্যাম বলেন, যে কোনও মুহূর্তেই সেন্ট্রাল হিমালয়ে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2AE2LPP

December 01, 2018 at 02:35PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top