নিউইয়র্ক, ২১ ডিসেম্বর- ইউনিফর্ম অফিসার হিসেবে প্রায় ১৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাজ করছেন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে। এই নারী সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ফজিলাতুন নিসা। তিনি এখন সার্জেন্ট। কুমিল্লার মেয়ে ফজিলাতুন নিসার জীবনের গল্পটি সময়কে জয় করার। ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল ফজিলাতুন নিসাকে। তখন তিনি চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী। বললেন, তখনই জানতাম আমাকে সংগ্রাম করতে হবে, সংগ্রাম করেই জীবনে জয়ী হতে হবে। সেই কষ্টের সময়েই তিনি পান যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগডিভি (ডাইভারসিটি ভিসা) লটারির কল্যাণে। সময়টা ছিল ২০০৫ সাল। ফজিলাতুন নিসা চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। অচেনা শহরে কাজের খোঁজ করেন। প্রথম কাজ জোটে একটি সুপারমার্কেটে। কিন্তু এ কাজে আটকে থাকতে চাননি ফজিলাতুন নিসা। স্বপ্নটা ছিল বড়। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য পড়াশোনাটা চালিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। ভর্তি হন স্থানীয় এক কলেজে। কলেজে পড়ার সময়ই জানতে পারেন, অভিবাসী হয়েও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগ দেওয়া যায়। ২০১২ সালে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলেন। যোগ দিলেন এনওয়াইপিডিতে। সে সময়ের কথা বলছিলেন, আমার সঙ্গে তাসলিমা আখতার নামের আরেক বাংলাদেশি নারী নিউইয়র্কের ইউনিফর্ম পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে বাংলাদেশি অভিবাসী কোনো নারী চ্যালেঞ্জিং এ কাজে যোগ দেননি। আমরাই ছিলাম পুলিশে প্রথম বাংলাদেশি নারী। তাসলিমা আখতার এখন কোথায় আছেন, সেই গল্পটা অবশ্য জানা গেল না। কিন্তু আমরা শুনতে থাকি পুলিশ বিভাগে ফজিলাতুন নিসার এগিয়ে চলার গল্প। নিয়োগ পাওয়ার পর দুই বছর প্যাট্রল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিন ভাষায় দক্ষতা তাঁকে তখন বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। ফজিলাতুন নিসাকে যুক্ত করা হয় এনওয়াইপিডির কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে। ২০১৭ সালে পদোন্নতি পেয়েছেন সার্জেন্ট পদে। নিউইয়র্ক পুলিশের প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি নারী সার্জেন্ট ফজিলাতুন নিসা। এমএ/ ০৬:০০/ ২১ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2BDqKz4
December 22, 2018 at 12:05AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top