ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর- প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই একটা স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থাকে। যে পজিশনে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ওই ব্যাটসম্যান। দেখা যায়, পছন্দের ওই পজিশনে তার সাফল্যও বেশি। কিন্তু অনেক সময় দলের প্রয়োজনের পছন্দের জায়গাটা ছেড়ে দিতে হয়। সৌম্য সরকারের কথাই ধরুন। কত জায়গায়ই না ব্যাট করতে হচ্ছে তাকে। কখনও ওপেনিং, কখনও তিন নাম্বার, কখনও ছয় কিংবা সাতে। শুধু সৌম্য কেন? স্পেশালিস্ট ওপেনারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস আর লিটন দাসকেও কখনও ছয়-সাতে দেখা যাচ্ছে। দলের প্রয়োজনে কোনো আপত্তি না তুলেই খেলে যাচ্ছেন তারা। পজিশনের এই অদল বদল কিছুটা হলেও দল ও খেলোয়াড়ের জন্য অস্বস্তির কারণ। তাতে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে অনেক সময় দ্বিধায় থাকেন ব্যাটসম্যানরা। আগাম পরিকল্পনা করাটাও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে যে যাই মনে করুক, বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস এটাকে কোনো সমস্যা মনে করেন না। শিষ্যদের প্রতি তিনি এতটাই আস্থাশীল যে, টাইগার কোচের দাবি-ভালো ব্যাটসম্যানরা যে কোনো পজিশনেই খেলতে পারে। পজিশনের অদল বদল নিয়ে রোডস বলেন, তারা ব্যাটসম্যান, তাদের কোনো দিন হয়তো ওপেন করতে হয়, কখনও নয়। তারা ভালোমানের ব্যাটসম্যান আর ভালো ব্যাটসম্যানরা সব জায়গায়ই খেলতে পারে। মূলতঃ চার কিংবা পাঁচ নাম্বার থেকে ওপেনে উঠে আসা বেশি কঠিন। কিন্তু আপনি যদি ওপেনার হন, আপনি যে কোনো জায়গায়ই কার্যকরভাবে ব্যাট করতে পারবেন। রোডস আলাদা করে বললেন, সৌম্যর কথা। তার চোখে, ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় আসলে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ইমরুলের সামর্থ্যেও আস্থা আছে কোচের, আমার মনে হয়, যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করে সে (সৌম্য) আসলেই দারুণ কিছু দেখিয়েছে। সে বহুমুখী প্রতিভার একজন ক্রিকেটার। সে বোলিং করে, ফিল্ডিং করে, যে কোনো জায়গায় ব্যাটিংও করতে পারে। সে আমাদের দলের দারুণ একজন ক্রিকেটার। আর ইমরুল প্রধানত ওপেনার। কিন্তু এশিয়া কাপে আমরা দেখলাম সে সাত নাম্বারে নেমেও ৭০-এর মতো করল। ব্যাটিংয়ে এই বহুমুখীতার বুদ্ধিটা আমার ভালো লাগে। যারা বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটিং করতে পছন্দ করে তাদেরও। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৮:১৪/১৫ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QSEWxY
December 16, 2018 at 06:40AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন