ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর- অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে একাই লড়াই করলেন। তিনি ছাড়া ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। যার ফলে ক্যারিবীয়দের সামনে মাত্র ১৩০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৬১ রান করে আউট হন সাকিব। ক্যারিবীয় বোলাররা যখন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বংসস্তুপ তৈরি করলেন, তখন সেখানে বীরের মত লড়াই করলেন একা অধিনায়ক সাকিব। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয় বোলারদের উইকেটের চারপাশে খেলেছেন তিনি। ফলে তার ব্যাটে ৪৩ বল থেকে ৮টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার বেরিয়ে আসে। কিন্তু ১৮তম ওভারে ক্যারিবীয়দের আজকের দিনের সেরা বোলার শেলডন কটরেলের বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন সাকিব। তিনি ছাড়া বাংলাদেশ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান। করেছেন আরিফুল হক, ১৮ বল খেলে। আরিফুলের চেয়েও বেশি স্লো ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৯ বল খেলে ১২ রান করেন তিনি। ক্যারিবীয় পেসার শেলডন কটরেল ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একাই নেন ৪ উইকেট। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ক্যারিবীয় পেসারদের তোপের মুখে ৩১ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল-লিটন দাস এবং সৌম্য সরকারকে হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ওভারটা গতি দানব ওশান থমাসকে ভালোই মোকাবেলা করেছিলেন তামিম আর লিটন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে শেলডন কটরেলের স্লোয়ারটাকে বুঝতেই পারেননি তামিম। অফ সাইডে থাকা বলটিতে পুল করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাচ উঠে যায় মিড অফে। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ক্যাচটি সহজেই তালুবন্দী করে নেন। পরের ওভারেই ওশান থমাসকে উইকেট দিয়ে এলেন লিটন কুমার দাস। ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসা বলটি খেলতে গেলেন লিটন। কিন্তু তামিমের মতই মিডঅফে চলে যায় এবং খুব সহজ ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন ব্র্যাথওয়েট। তামিম-লিটন আউট হয়ে যাওয়ার পর সৌম্য সরকারের কাছ থেকে একটি ভালো জুটি আশা করেছিল সবাই। কিন্তু একই ভুল তিনিও করে বসলেন। সেই শেলডন কটরেলের আরও একটি শট বল এবং আবারও উইকেট নিয়ে নিলেন তিনি। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৩১ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু খুব বেশি দুর যেতে পারেননি। দুর্ভাগ্যক্রমে রানআউট হয়ে গেলেন মুশফিকুর রহীম। ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে অন সাইডে ঠেলে দিয়েই একটি দ্রুত রান নেয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু রোভম্যান পাওয়েল বলটা ধরে সরাসরি থ্রো করলে সেটা উইকেটে আঘাত হানে এবং আউট হয়ে যান মুশফিক। মুশফিক আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন সাকিব। তবে তারাও বেশি দুর এগুতে পারলেন না। মাত্র ২৫ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হলেন। ১৯ বলে ১২ রান করে আউট হন কটরেলে বলে সাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর আরিফুল হককে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। যদিও আরিফুল ছিলেন কিছুটা স্লো। ১৮ বল খেলে তিনি করেন ১৭ রান। তবুও এই জুটি বাংলাদেশকে ১০০ পার করে দেয়। আরিফুল আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন সাইফউদ্দিন। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের খ্যাতি আছে যার। কিন্তু ২ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই বিদায় নিতে হলো তাকে। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিন আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসানও ফিরে গেলেন দ্রুত। দলীয় ১২২ রানের মাথায় কটরেলকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাকিব। মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ বল খেলে কিমো পলের বলে উইকেটের পেছনে সাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। মোস্তাফিজুর রহমান কিমো পলের বলে বোল্ড হয়ে গেলে, ১ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৭ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QFUbv2
December 17, 2018 at 09:34PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন