ঢাকা, ২২ জানুয়ারি- তবে কি আগেই জেনেছিলেন তিনি সময় খুব অল্প আছে আর! না হলে কেনইবা গত ২ জানুয়ারি তিনি ফেসবুকে লিখবেন আমাকে যেন ভুলে না যাও তাই একটা ছবি পোস্ট করে মুখটা মনে করিয়ে দিলাম। ফেসবুকের শেষ স্ট্যাটাসে এমন কথাই লেখা রয়েছে কিংবদন্তি সংগীত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এ প্রতিবেদককে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে সামির আহমেদ। কিংবদন্তি এই শিল্পীকে যে মানুষ ভুলবে না তার প্রমাণ মেলে ওই স্ট্যাটাসের কমেন্টেই। সেখানে বহুজন নানাভাবে লিখেছেন তাদের ভালোবাসার কথা। করেছিলেন আরও বহুকাল বেঁচে থাকার প্রার্থনা। বুলবুলের ওই স্ট্যাটাসের নিচে ফজলুর হক নামে একজন লিখেছিলেন, বুলবুল ভাই, আপনাকে কি ভুলা যায়! আপনি বাংলার গানের বুলবুল, আপনি স্বাধীনদেশের গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা। যতদিন লাল সবুজের পতাকা থাকবে, আপনিও ততদিন সবার হৃদয়ে চিরজীবী থাকবেন। মরিয়ম রুমা নামে একজন লেখেন, আপনার মত একজন গুনী মানুষকে কখনোই ভোলা যায় না. আপনার সবকিছুই অসাধারন.সবসময় আপনার সুস্থতা কামনা করি আল্লাহর কাছে, আমীন। নার্গিস রহমান নামে আরেকজন লিখেছিলেন, না না ভাইয়া,আপনি ভুলার মানুষ নয়।আপনি বাংলার সম্পদ। আপনার সুর ও গীতিকার আমাদের মনের খাবার যোগায়।আপনি সুস্হ ও সুন্দর থাকুন, দোয়া করবো সারা জীবন। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে শিল্পী পাড়ি দিলেন সেই অমোঘ পথে। সামির বলেন, হার্ট অ্যাটাকে বাবার মৃত্যু হয়। রাতে হার্ট অ্যাটাকে বাসায় মৃত্যু হয় তার। পরে তাকে চেকাপের জন্য মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে আফতাব নগরের সি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাসায় নিয়ে আসা হয় বরেণ্য এই শিল্পীর মরদেহ। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। সত্তর দশকের শেষ লগ্ন থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই নক্ষত্র মানুষ। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সূত্র: সারাবাংলা আর/০৮:১৪/২২ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2S5j3vM
January 22, 2019 at 04:34PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন