মালদহ, ১১ জানুয়ারী- একাহাতে ঘর সংসার সামলাতে হয়। তার উপর ছেলে মেয়ে মানুষ করা। সেই সব সামলে আবার ব্যবসার দিকটাও দেখতে হয়। দশভুজা হয়ে কাজ করেও দিনে এতটুকু ফুরসত মেলে না। তাহলে পঞ্চায়েত সমিতির কাজ করবেন কখন? সাতপাঁচ না ভেবে, নিজের অসহায়তা জানিয়ে সটান চিঠি লিখে ফেললেন খোদ বিডিওকে। অবশ্য বিকল্প একটা পথও বাতলেছেন ওই চিঠিতে। লিখেছেন, তাঁর বদলে যদি স্বামীকে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের কাজ করতে দেওয়া হয়, তাহলে সবদিকই বজায় থাকবে। আর পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মী সরকারের চিঠি পেয়ে তো তাজ্জব বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস। চিঠিটি মহকুমা শাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতিতে এবার বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন তৃণমূলের লক্ষ্মী সরকার। সেই লক্ষ্মীদেবীই এক অভিনব আবদার করে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নির্বাচিত ওই জনপ্রতিনিধি লিখেছেন, সন্তান সামলানো ও ব্যবসার কাজ করে পঞ্চায়েত সমিতির কাজে সময় দিতে পারছেন না। তাই তাঁর বদলে যেন তাঁর স্বামীকে পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মী সরকারের চিঠিকে ঘিরে জেলায় বিতর্ক তুঙ্গে। পুরাতন মালদহ ব্লকের বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস বলেন, ওই মহিলা কর্মাধ্যক্ষের দেওয়া চিঠি পেয়েছি। তাঁর পরিবর্তে স্বামী কাজ করবেন বলে তিনি আবেদন করেছেন। এই ধরনের কোনও আইন রয়েছে বলে আমার জানা নেই। সেই চিঠি মহকুমা শাসকের কাছে পাঠিয়েছি। বিরোধী দলনেতা বিজেপির নিতাই মণ্ডল বলেন, ওই কর্মাধ্যক্ষের স্বামী দিনের পর দিন পঞ্চায়েত সমিতিতে বসে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছেন। লক্ষ্মী সরকারের যদি ব্যবসায়িক সমস্যা ছিল, তাহলে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন কেন? পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মাইতি মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্মের সঙ্গে কর্মাধ্যক্ষকেই উপস্থিত থাকতে হবে। বাইরের কেউ তাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আমি এটাই জানি। প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মী সরকার অবশ্য এবিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু জানাতে রাজি হননি। তবে তাঁর স্বামী ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি সুদর্শন হালদারের সাফাই, জনগণের স্বার্থেই জনগণের কাজ করার জন্যই এই ধরনের চিঠি বিডিওকে দেওয়া হয়েছে।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2FreuW8
January 12, 2019 at 02:10AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top