ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি- রোবটের মতো চেষ্টা করলেন জাকির হাসান। খেললেন ৩৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রানের সংগ্রামী ইনিংস। তবুও সংগ্রহটা বড় হলো না। টপঅর্ডার ও লেজের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হলো রাজশাহী কিংস। নিজেদের সবশেষ ম্যাচে পরাজয় বরণ করে দুই দলই। ফলে জয়ের খোঁজে উভয়ই। সেই লক্ষ্যে টস ভাগ্যকে পাশে পান মাশরাফি বিন মুর্তজা। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক। ফলে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস। তবে শুরুটা শুভ হয়নি বরেন্দ্রভূমির দলটির। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন মিরাজ। সূচনালগ্নেই মাশরাফি শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা সৌম্য সরকারকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। তবে ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। ক্রিজ ছেড়ে সোহাগ গাজীকে তেড়েফুঁড়ে মারতে এসে মোহাম্মদ মিথুনের স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন পয়েট অব ডায়নামো। মুমিনুল ফিরলে স্থায়ী হতে পারেননি সৌম্যও। তার ঘাড়েও চেপে বসে অশুভ ভূত। অযাচিতভাবে মাশরাফিকে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ফরহাদ রেজাকে তিনি ক্যাচ দিয়ে এলে চাপে পড়ে রাজশাহী। পরে জাকির হাসানকে নিয়ে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ হাফিজ। দারুণ খেলছিলেন তারা। দুজনের মধ্যে ভালো মেলবন্ধনও গড়ে উঠেছিল। ফলে চাপ কাটিয়ে উঠছিল উত্তরবঙ্গের দলটি। তবে হঠাই খেই হারান হাফিজ। ২৯ বলে ১ চারে ব্যক্তিগত ২৬ করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। এ পরিস্থিতিতে রেজার শিকারে পরিণত হন লরি ইভান্স। আর রায়ান টেন ডেসকাট রানআউট হলে ফের চাপে পড়ে রাজশাহী। এর মধ্যে রেজার বলির পাঁঠা হন ইসুরু উদানা। সেই জের না কাটতেই শফিউল ইসলামের বলে ক্লিন বোল্ড হন আরাফাত সানি। একে একে সবাই যাওয়া-আসার মধ্যে সবাই যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান জাকির। তার ৩৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রানের লড়াকু ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলতে সামর্থ্য হয় রাজশাহী। রংপুরের হয়ে মাশরাফি ও ফরহাদ নেন ২টি করে উইকেট। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২ জয় ও সমান পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রংপুর। আর ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ হারে ষষ্ঠ স্থানে রাজশাহী। এমএ/ ০৩:৩৩/ ১৩ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2QJrk3U
January 13, 2019 at 09:48PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top