গত বছর জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ক্যাথরিন মায়োর্গা নামের এক নারী। আর এবার এই ফুটবল নক্ষত্রের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের হুমকির অভিযোগ আনলেন তার সাবেক সঙ্গিনী জেসমিন লিনার্ড। সেই সঙ্গে তাকে মানসিক রোগী ও মিথ্যাবাদী হিসেবেও অভিহিত করেন এই বিগ ব্রাদার তারকা। সম্প্রতি নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে একাধিক পোস্টে রোনালদোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে মায়োর্গাকে সহায়তা করার কথা প্রকাশ করেছেন লিনার্ড। সেই পোস্টে তিনি দাবী করেন, রোনালদোর বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ আছে তার কাছে এবং তা এই কেসে তাদের কাজে দেবে। ধারাবাহিক টুইটে তিনি লিখেছেন, আপনি যখন কাউকে যৌন কাজে জোর করবেন আপনি ধর্ষক এবং দানব। আর আপনি ফুটবলে কতো ভালো কিক করতে পারেন কিংবা ভালো গান গাইতে পারেন তা আমার কাছে বিবেচ্য নয়। এরপর রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে লিনার্ড লিখেছেন, সে মনে করে আইনের ফাঁক গলে সে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু এবার তা হবে না। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল প্রায় একযুগের। গত বছর পর্যন্তও তার সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আমার কাছে তার ম্যাসেজ ও রেকর্ডিং আছে যা কাজে লাগতে পারে। ক্যাথরিন এবং তার দল রোনালদোর আসল চেহারা ও চরিত্র ফাঁস করে দিয়েছে। আমি আর বসে থাকতে পারছি না। এতে আমার নিজেকেই অপরাধী বলে মনে হচ্ছে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো ক্যাথরিন। আমি তোমাকে সহয়তা করব। সে আমাকে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো থামাতে ও আমাকে চুপ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি সঠিক কাজটাই করব যাতে তুমি নিজেকে তৈরি করতে পারো। সে হয়তো তোমাকে থামাতে চেষ্টা করবে কিন্তু এটা এখন সবাই জানে ফলে সে বাজেভাবে ব্যর্থ হবে। তার (রোনালদো) ভয়ানক মানসিক সমস্যা আছে। তার সন্তান ও তার সন্তানের মায়ের চারপাশ মিথ্যে ঘিরে আছে। সে একটা পাষণ্ড এবং মিথ্যুক। তার পুরো জীবনটাই একটা মিথ্যে। ও একটা মানসিক রোগী। সে আমাকে একবার বলেছিল আমি যদি অন্য কারো সঙ্গে ডেট করি কিংবা বাড়ির বাইরে যাই তাহলে সে আমাকে অপহরণ করবে এবং আমার দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেবে। হ্যাঁ, আমি যা বলছি তার প্রমাণ আছে আমার কাছে। না, আমি তাকে ভয় পাইনা। প্রায় একযুগ ধরে আমি তার বহু ভণ্ডামি গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু এটা (মায়োর্গাকে ধর্ষণ) ছিল এগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। আমি আদালতে এসব অভিযোগের জন্য তার পাশে দাঁড়াবো না, যখন আমি বিশ্বাস করি সে অপরাধী। আর/১২:১৪/১১ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2THNCF0
January 11, 2019 at 07:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন