দ্যা গ্লোবালনিউজ২৪ :: সোমবার সিলেট সফরে আসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। সফরকালে সিলেট বিএনপির নেতারাও তাদের সাথে ছিলেন। তবে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের এই সফরে দেখা যায়নি সিলেট বিভাগ থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও মোকাব্বির খানকে।
সোমবার দিনভর সিলেট নগরী ও বালাগঞ্জে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। তবে কোনো কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি দুই গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। এই দুই নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা।
নির্বাচনের পরই নানা ইস্যুতে ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রধান শরিক বিএনপির সাথে গণফোরামের মতপার্থক্য দেখা দেয়। গণফোরাম প্রধান ড. কামাল হোসেন তাঁর দল থেকে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ নেওয়ার পক্ষে থাকলেও তাতে আপত্তি জানায় বিএনপি। বিএনপির আপত্তিতেই শপথ নেওয়া হয়নি গণফোরামের দুই সাংসদ সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের। সম্প্রতি জামায়াত ইস্যুতেও বিএনপি ও গণফোরামের মধ্যে দূরত্বের কথা শোনা যাচ্ছে।
যদিও সোমবার সিলেটে এসেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। তবে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সফরকালে সিলেট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের দুই সাংসদের অনুপস্থিতি নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের মতো সিলেটেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হলেও ১৯ টি আসনের দুইটি আসনে জয়ী হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত গণফোরামের এ দুই প্রার্থী। মৌলভীবাজার-২ আসনে বিজয়ী হন ধানের শীষ প্রতীকের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও সিলেট-২ আসনে বিজয়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত উদীয়মান সূর্য প্রতীকের গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান।
বিজয়ী গণফোরামের এ দুই প্রার্থী অনুপস্থিত থাকায় স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে এব্যাপারে সিলেট-২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় এ নেতাদের সিলেট আসার বিষয়টি আমি আগে থেকে জানতাম না।
মোকাব্বির খান বলেন, আমি দলীয় কাজে ঢাকায় ছিলাম। কেন্দ্রীয় নেতারা যে সিলেটে আসছেন তা আমার আগে থেকে জানা ছিলো না। যখন আমি জেনেছি তখন আমি চেষ্টা করেও বিমানের টিকিট পাইনি। তাই আর যাওয়া হয়নি।
এটা একদম অনিচ্ছাকৃত অনুপস্থিতি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার পার্টি গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু তাদের সাথে ছিলেন। সেখানে আমিও থাকার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু যোগাযোগে অভাবে আমি থাকতে পারিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের কর্মসূচিতে অনুপস্থিতির কারণ জানতে টেলিফোন করা হলে সুলতান মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আগামী এক মাস কোন বক্তব্য দিতে বা কোন রকম কথা বলতে পারবো না। আমি এখন অসুস্থ।’
উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সোমবার সিলেটে আসেন। সফরকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মহাসচিব হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা।
সিলেটে এসে প্রথমে তাঁরা হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন। এর পর মাজার জিয়ারত শেষে তারা সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনের দিন নিহত ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ সুহেলের বাসায় যান।
মাজার জিয়ারতের সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ বিএনপি ও বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের নেতা এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://bit.ly/2SUWp6K
January 15, 2019 at 12:04PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন