ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি- ফর্মের তুঙ্গে আছেন লরি ইভানস। গেল ম্যাচেই অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে খেললেন আরেকটি অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস। নাটাইটা মূলত তিনিই ধরে রেখেছিলেন। শেষদিকে কোপ দাগালেন ক্রিশ্চিয়ান জোনকার। তিনিও খেললেন নান্দনিক ইনিংস। তাতে লড়াকু পুঁজি পেল রাজশাহী কিংস। চট্টলার দলটিকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিল বরেন্দ্রভূমির দলটি। বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে লড়ছে রাজশাহী ও চিটাগং। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস। তবে শুরুতেই হোঁচট খায় তারা। রবি ফ্রাইলিংকের শিকার হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। এর রেশ না কাটতেই খালেদ আহমেদের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন মার্শাল আইয়ুব। পরে রায়ান টেন ডেসকাটকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লরি ইভানস। সেই প্রচেষ্টা আলোর মুখও দেখে। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই ছোটাতে শুরু করেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তাতেই ঘটে বিপত্তি। আবু জায়েদের বলে ইয়াসির আলির দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন ডেসকাট। ২০ বলে ৪ চারে ব্যক্তিগত ২৮ রানে এ ডাচ ফেরার পরই সানজামুলের শিকারে পরিণত হন জাকির হাসান। দুর্দান্ত ক্যাচে তাকেও ফেরত পাঠান ইয়াসির। ফলে হঠাৎ চাপে পড়ে রাজশাহী। ২ উইকেটে ৬১ থেকে তাৎক্ষণিক ৭২/৪ হয়ে যায় কিংসরা। একে একে টপঅর্ডারের সবাই ফিরলেও ক্রিজ আঁকড়ে বসে থাকেন ইভানস। ফলে লড়াকু পুঁজি গড়ার আশাও থাকে উত্তরবঙ্গের দলটির। একপ্রান্ত আগলে রানের ফোয়ারা ছোটান তিনি। তাতে এগোতে থাকে কিংসরা। গেল ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এদিনও তিন অংক ছোঁয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আর কত? দলের প্রয়োজন ও সময়ের দাবি মেটাতে গিয়ে খালেদ আহমেদের বলে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরত আসার আগে খেলেন ৫৬ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ রানের নান্দনিক ইনিংস। এমএ/ ০৩:২২/ ২৩ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2RVKxUT
January 23, 2019 at 09:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন