চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পেট্রলবোমা মেরে গাড়িচালককে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় দেন। দণ্ডিতরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শিবগঞ্জের বিয়েনবাজার গ্রামের মহসিন রেজার ছেলে ফেরদৌস আহমেদ, কানসাট শিকারপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন আলী ওরফে আপেল, রসুলপুরের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে আবু বাক্কার সিদ্দিক, শিয়ালমারা গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে সায়েম ও কানসাট গোপালনগর মোড়ের হজরত আলীর ছেলে মো. তোফায়েল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আলাদা আরেকটি ধারায় তাঁদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। এই অর্থ অনাদায়ে তাঁদের আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ৫৪ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৪৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এন্তাজুল হক বাবু জানান, দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ভোররাতে শিবগঞ্জ উপজেলার কয়লাবাড়ি বাজারে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারেন। এতে গাড়িটির চালক ভোলার শিপন হোসেন (৩০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই আবদুল মান্নান অজ্ঞাতদের আসামি করে সেদিনই শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পরে মামলাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ৫৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আবু সাঈদ ওরফে সায়েম ছাড়া সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মিজানুল ইসলামু। তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। এই আসামিরা নিশ্চিত খালাস পাবেন।’ অভিযুক্তরা বিএনপি-জামায়াতের কর্মী কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এজাহারে তাই-তো লেখা আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০১-১৯
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শিবগঞ্জের বিয়েনবাজার গ্রামের মহসিন রেজার ছেলে ফেরদৌস আহমেদ, কানসাট শিকারপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন আলী ওরফে আপেল, রসুলপুরের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে আবু বাক্কার সিদ্দিক, শিয়ালমারা গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে সায়েম ও কানসাট গোপালনগর মোড়ের হজরত আলীর ছেলে মো. তোফায়েল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আলাদা আরেকটি ধারায় তাঁদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। এই অর্থ অনাদায়ে তাঁদের আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ৫৪ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৪৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এন্তাজুল হক বাবু জানান, দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ভোররাতে শিবগঞ্জ উপজেলার কয়লাবাড়ি বাজারে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারেন। এতে গাড়িটির চালক ভোলার শিপন হোসেন (৩০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই আবদুল মান্নান অজ্ঞাতদের আসামি করে সেদিনই শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পরে মামলাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ৫৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আবু সাঈদ ওরফে সায়েম ছাড়া সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মিজানুল ইসলামু। তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। এই আসামিরা নিশ্চিত খালাস পাবেন।’ অভিযুক্তরা বিএনপি-জামায়াতের কর্মী কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এজাহারে তাই-তো লেখা আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০১-১৯
from Chapainawabganjnews http://bit.ly/2G0Orp7
January 24, 2019 at 09:43PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন