ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি- টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সিলেট সিক্সার্সের। সেই লক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পেল দলটি। নেপথ্য কারিগর জেসন রয়, আফিফ হোসেন ও সোহেল তানভীর। টার্নিং পয়েন্টে গুরুত্বপূণ ইনিংস খেলে সিলেটকে ১৮০ রানের পুঁজি এনে দিয়েছেন তারা। ম্যাচ শুরুর আগে সবাইকে চমকে দেয় সিলেট। কনুইয়ের ইনজুরিতে পড়ে বিপিএল ছেড়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় দলটির নিয়মিত অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ফলে অধিনায়কত্ব পান সোহেল তানভীর। তবে তাকে দলকে নেতৃত্বের সুযোগ দেয়া হলো মাত্র এক ম্যাচ। গেল মঙ্গলবার খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে হারের পর তার হাত থেকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড খুলে নিয়েছে সিলেট। নতুন দলনায়ক হয়েছেন অলক কাপালি। তবে টসভাগ্যকে পাশে পাননি তিনি। হেরে যান রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফলে আগে ব্যাটিং করতে নামে সিলেট। অবশ্য শুরুটা আশাব্যঞ্জক হয়নি। সূচনালগ্নে আরাফাত সানির শিকার হয়ে ফেরেন সাব্বির রহমান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফেরেন লিটন দাস। পরে আফিফ হোসেনকে নিয়ে খেলা ধরেন জেসন রয়। দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই ছোটাতে শুরু করেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। সেকুগে প্রসন্নের বলে ক্লিন বোল্ড হন রয়। ফেরার আগে ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। ওয়ার্নারের বিকল্প হিসেবে তাকে উড়িয়ে এনেছে সিলেট। এ ম্যাচ দিয়েই এবার বিপিএলে রানের অভিযান শুরু করেন রোমাঞ্চকর ইংলিশ ব্যাটসম্যান। রয় ফিরলে ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি নিকোলাস পুরান। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে কিশ্চিয়ান জোনকারের হাতে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। খানিক পরই রায়ান টেন ডেসকাটের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা আফিফ। সাজঘরে ফেরত আসার আগে তিনি করেন ২৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কবায় ২৮ রান। এতে রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়। এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তবে রানের চাকা দ্রুত গড়াতে গিয়ে ধরা খান তিনি। মোস্তাফিজের বলে ফজলে মাহমুদের তালুবন্দি হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন পাকিস্তানি রিক্রুট। ততক্ষণে লড়াকু পুঁজির ভিত পেয়ে যায় সিলেট। তাতে এসে জ্বালানি জোগান সোহেল তানভীর। মাত্র ১০ বলে ৪ চারে ২৩ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ১৮০ রানের সংগ্রহ গড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অপরপ্রান্তে ১৪ বলে ২ চারে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন অলক কাপালি। এমএ/ ০৪:৩৩/ ২৫ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Dx9n5o
January 25, 2019 at 10:47PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন