শিলচর, ১৭ জানুয়ারি- ভারতের মাটিতে এবার হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমনের শিকার হলেন কবি শ্রীজাত। শনিবার (১২ জানুয়ারি)ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কবি শ্রীজাত। কবিকে ঘিরে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তুমুল তাণ্ডব চালায় হিন্দুত্ববাদীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শ্রীজাতকে উদ্ধার করে অসম পুলিশ। পরে পুলিশি প্রহরায় কবি শ্রীজাতকে অসম সরকারের সার্কিট হাউসে নিয়ে রাখা হয়। অসমের শিলচরে এসো বিলি নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শ্রীজাত। শহরের পার্ক রোডের রিয়া প্যালেস নামে একটি হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েটে ছিলো অনুষ্ঠানটি। শনিবার(১২ জানুয়ারি)সকাল থেকেই ওই অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর হুমকি দেয় হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর অনুষ্ঠান শুরু হতেই জনা সাতেক স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা উদ্যোক্তাদের বলে তারা কবি শ্রীজাতকে কিছু প্রশ্ন করতে চায়। এরপরেই তারা অনুষ্ঠানের মধ্যে শ্রীজাতকে প্রশ্ন করেন, তিনি কেন ফেসবুকে পোষ্ট করা তার অভিশাপ কবিতায় কন্ডোম পরানো থাকবে তোমার ওই ধর্মের ত্রিশুলে... এই লাইনটি লিখেছেন? সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় ওই যুবকদের। উদ্যোক্তারা জানান, এটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জায়গা নয়। প্রথমে ওই যুবকদের হোটেলের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ওই যুবকরা হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঢিল মেরে ভেঙে দেওয়া হয় হোটেলের কাঁচ। এরপর হোটেলের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাতে থাকে, কবি শ্রীজাতকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কবি শ্রীজাত। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই কলকাতা থেকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ফোনে অসম প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন। শ্রীজাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমি আস্বস্ত বোধ করছি। আশা করছি, রোববার সকালে আমি কলকাতায় ফিরে যেতে পারবো। ইতিমধ্যে তিনি কলকাতায় ফিরেও এসেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় এটা মনে করার কোনও কারন নেই যে, আমি ভয় পেয়ে লেখা থামিয়ে দেবো। তিনি স্থানীয় সংগঠন ও প্রশাসনের প্রশংসা করে বলেন, এখানকার স্থানীয় মানুষ এবং পুলিশ যেভাবে আমার পাশে দঁড়িয়েছে, সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ। রোববার (১৩জানুয়ারি) সকালে পুলিশি প্রহরায় কবি শ্রীজাত শিলচর বিমানবন্দরে আসেন। সেখান থেকে তিনি বিমানে করে কলকাতায় ফিরে এসেছেন। এমএ/ ০১:৪৪/ ১৭ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2MhByYx
January 17, 2019 at 07:57PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top