ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে খেলা সাত দলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে এসেছে চিটাগং ভাইকিংস। ৭ ম্যাচ খেলে ৬ জয়ে সবার উপরে মুশফিকুর রহিমের চিটাগং ভাইকিংস। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাজশাহী কিংসের করা ১৫৭ রানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে জয় পায় ভাইকিংসরা। চিটাগং ভাইকিংসের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের হাত ধরেই। ৩ বলে ১ রান করা ক্যামেরন ডেলপোর্টকে স্পিন ফাঁদে ফেলে এলবিডব্লিউ আউটে ফেরান মিরাজ। মাত্র ৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলা চিটাগংয়ের স্কোরে ২৩ রান যোগ করে দ্বিতীয় জুটি। তবে ইয়াসির আলী আউট হলে সমাপ্তি ঘটে এই জুটির। আরাফাত সানির বলে জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৩ রানে ফেরেন ইয়াসির। মাত্র ৩ বল পরই সানির বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগানি ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। আউট হয়ে ফেরার আগে তিনি ১৭ বলে ২৫ রান করেন। তৃতীয় উইকেট হারানোর পর দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে নিয়ে যায় মুশফিকুর রহিম ও নাজিবুল্লাহ জারদান জুটি। কিন্তু ইনিংসের ১১তম ওভারে জারদানকে ফিরিয়ে দিয়ে তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সানি। ১৯ বলে ২৩ রান করে জঙ্কারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জারদান। এক প্রান্তে চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক আগলে রেখে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। ৩৯ বলে করা এই হাফসেঞ্চুরিটি চলতি বিপিএলে তার তৃতীয়। অপরাজিত থেকেই ম্যাচ জয় করে ফেরেন মুশফিক। তার সঙ্গে দারুণ সঙ্গ দেন সৈকত। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৬৪ রানে মুশফিক ও ২৬ বলে ৪৩ রানে সৈকত অপরাজিত থাকেন। রাজশাহীর হয়ে তিন উইকেট নেন আরাফাত সানি ও একটি নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এর আগে লরি ইভান্সের ব্যাটে ভর করেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় চিটাগং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংস। যেখানে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এবারের আসরে দুদলের এটিই প্রথম সাক্ষাৎ। শুরুটা এবারের বিপিএলের প্রায় প্রতিটি ম্যাচের মতো খারাপই করে রাজশাহী। দলীয় ৮ রানে হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। সৌম্য সরকারকে ফেরান রবি ফ্রাইলিঙ্ক। আর খালেদ আহমেদে বলে মাঠ ছাড়েন মার্শাল আইয়ুব। তবে এরপর হাল ধরেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক ইভান্স ও রায়ান টেন ডয়েসকাটে। আবু জায়েদের বলে ডেসকাট ২০ বলে ২৮ করে ইয়াসির আলীর ক্যাচে আউট হন। আর সানজামুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে জাকির হাসান করেন ৫ রান। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ইভান্স। ইংলিশ এই তারকা দারুণ ব্যাটিং করে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। পরে খালেদের বলে ৭৪ করে আউট হন। ৫৬ বলে ৮টি চার ও দুটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। শেষ দিকে জোনকার ২০ বলে ৩৬ ও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ১০ রানে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে রাজশাহী। খালেদ দুটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান ফ্রাইলিঙ্ক, সানজামুল ও আবু জায়েদ। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এমএ/ ০৯:০০/ ২৩ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2AUEg1F
January 24, 2019 at 03:07AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন