কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি- ব্রিগেডের সমাবেশকে মোদী বিরোধী মহামঞ্চ হিসেবে তুলে ধরতে তত্পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সমাবেশে দেশের কতগুলি অ-বিজেপি দলের সুপ্রিমোরা আসবেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়৷ তবে বিজেপির চার বিদ্রোহী নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, যশোবন্ত সিনহা, রাম জেঠমালানি, অরুন সৌরিকে ব্রিগেডের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা যাবে বলে তৃণমূলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়ে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল। গত কয়েকমাস ধরেই সর্বভারতীয়স্তরে এই বার্তা দিচ্ছেন দলনেত্রী স্বয়ং। তাঁর বক্তব্য, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী সেখানে সেই দলকে প্রাধান্য দিয়ে বিরোধী জোটের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু তাঁর ডাকে কতজন সশরীরে সাড়া দেয় সেটা দেখার জন্যই এখন মুখিয়ে আছে দেশের রাজনৈতিক মহল৷ ইতিমধ্যেই মোদী বিরোধী প্রধান মুখগুলির মধ্যে কেউ ব্যক্তিগত কাজে আবার কেউ রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় মমতার সভায় আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রথমেই আমন্ত্রণ খারিজ করে দিয়েছেন৷ এখনও যা খবর তাতে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ১৯ জানুয়ারি একটি মামলায় তাঁর দিল্লির আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা। সে কারণে তিনি নিজে কলকাতায় আসতে না পারলে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে জয়প্রকাশ যাদবকে ব্রিগেডে পাঠাবেন বলে শনিবার তেজস্বী পটনায় জানিয়েছেন।অন্য দিকে, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও আসতে পারবেন কি না, এখনও নিশ্চিত নয়। কংগ্রেস শিবিরও এখনও পর্যন্ত ব্রিগেড সমাবেশে আসার ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু জানায়নি বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ওই মঞ্চে রাহুল গান্ধী থাকলে তিনি থাকবেন না৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন, কুমারস্বামী, দেবগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা, চন্দ্রবাবু নায়ডু, অরবিন্দ কেজরিবাল, যশবন্ত সিন্হা, শত্রুঘ্ন সিংহ, স্ট্যালিন-সহ অনেকেই আসবেন৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপিতে কোনঠাসা চার নেতা তাঁদের আসা নিশ্চিত করায় দল অনেকটাই নিশ্চিন্ত৷ বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা দীর্ঘদিন ধরেই নোট বাতিল, জিএসটি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে সামালোচনার ঝড় বইয়ে দলে কোনঠাসা৷ যশবন্ত সিনহা, রাম জেঠমালানী, অরুন শৌরিদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের ফারাক ক্রমশ বেড়ে অপূরণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই নেতাদের সভার চমক হিসেবে তুলে ধরে দলের খুব একটা লাভ হবে কিনা তার প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই ঘুরছে৷



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2RKwoK4
January 14, 2019 at 04:20PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top