সব সময় হাল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে ব্রিটিশ গোয়েন্দা জেমস বন্ড। এ সিরিজের সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ হলো দামি মডেলের গাড়ি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বন্ড সিনেমায় ব্যবহৃত অনেক গাড়ির দাম ২০ থেকে ৫০ কোটি রুপির মধ্যে। ২০০৮ সালের কোয়ান্টাম অব সোলেস ছবিতে আলফা রোমিও ১৫৯ গাড়ি থেকে মেশিনগানে গুলি চালাতে দেখা যায় বন্ডকে। নিলামে এই গাড়ির দর ওঠে ৪৫ কোটি রুপি। ১৯৯৯ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ সিনেমায় ব্যবহার হয় অ্যাস্টন মার্টিন ডিবি৫। এই স্পোর্টস কারে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে বন্ডকে। ৭০-৮০ দশকে এই গাড়ির দাম ৩০ লাখ রুপি থেকে শুরু। অডি ২০০ কোয়াট্রো ব্যবহার করা হয় ১৯৮৭ সালের দ্য লিভিং ডেলাইটস-এ। নিলামে গাড়িটির দাম শুরু হয় ৩০ কোটি রুপিতে। ১৯৬৩ সালের ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ ছবিতে বেন্টলে পার্ক ওয়ার্ড ড্রপহেড কপ গাড়িটিতে চড়ে বন্ড। লেখক ইয়ান ফ্লেমিং ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত বইয়ে গাড়িটির উল্লেখ ছিল। ১৯৬৩ সালের অক্টোপুসি ছবিতে বিএমডব্লিউ ৫১৮-আই ব্যবহার করা হয়। বন্ড সিনেমার প্রতিপক্ষকে ধাওয়ার দৃশ্যে এ গাড়ি জনপ্রিয়। লিঙ্ক কন্টিনেন্টাল ব্যবহার করা হয় ১৯৬৪ সালের গোল্ডফিঙ্গার ছবিতে। নিলামে এক কোটি রুপি থেকে দাম শুরু হয় গাড়িটির। মাসেরাতি বিটুরবোকে দেখা গিয়েছে ১৯৮৯ সালের লাইসেন্স টু কিল ছবিতে। গাড়িটির দাম ৫০ লাখ রুপির কাছাকাছি। ১৯৬৯ সালের অন হার ম্যাজেস্টিস সার্ভিস ছবিতে মার্কারি কুগার এক্সআর-৭ ব্যবহার করা হয়। অ্যাস্টন মার্টিনের তুলনায় বন্ড সিনেমায় এই গাড়ির উপস্থিতিই বেশি ছিল। ছবিতে বন্ডের হবু স্ত্রী ট্রেসি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। মার্সিডিজ বেঞ্জ ৪৫০এসইএল ব্যবহার করা হয় ১৯৮১ সালের ফর ইওর আইজ অনলি ছবিতে। আ ভিউ টু আ কিল ছবিতে রেনল্ট ফুয়েগো ব্যবহার করতে দেখা যায় ফ্রান্সের খলনায়িকাদের। রোলস রয়েস নিয়ে তাড়া করার দৃশ্যে এই গাড়িকেও দেখা গিয়েছে। ১৯৯৭ সালের টুমরো নেভার ডাইজ ছবিতে ফোর্ড স্করপিও-তে চড়ে শত্রুকে তাড়া করে বন্ড। ২০১৫ সালের স্পেকট্রে ছবিতে দেখা যায় রোলস রয়েস সিলভার রেথ। এ ছাড়া জেমস বন্ডের অন্যতম একটি গাড়ি ট্রায়াম্ফ স্ট্যাগ। আমস্টারডামের রাস্তায় ডায়ামন্ডস আর ফরএভার সিনেমায় দেখা যায়। এমএ/ ০২ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Gg21oq
February 02, 2019 at 09:40PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top