ক্রান্তি, ১৬ ফেব্রুয়ারিঃ দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য শিক্ষাকেন্দ্র বানিয়ে সমাজ থেকে অশিক্ষা দূর করতে উদ্যোগী হলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। ইতিমধ্যেই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৮টি কেন্দ্রে শিশুরা প্রাথমিকের পঠনপাঠন শুরু করেছে তাঁর উদ্যোগে। ওই কেন্দ্রগুলিতে পড়াচ্ছেন গ্রামের শিক্ষিত মহিলারা। করিমুলের বিশ্বাস, এই উদ্যোগে গ্রামে একদিকে যেমন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে, তেমনই কেন্দ্রগুলিতে পড়িয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন গ্রামের মহিলারা।
নিজের গ্রাম রাজডাঙ্গার ধলাবাড়িতে ৪টি এবং উত্তর মাঝগ্রামে ১টি এমন কেন্দ্র তৈরি করেছেন করিমুল হক। পাশাপাশি ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডারিপাড়া, বৈরাগীপাড়া, কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকাতেও এই ধরনের কেন্দ্র চালু করেছেন তিনি। এই ৮টি কেন্দ্রে ২-৫ বছর বয়সি দুই শতাধিক পড়ুয়া প্রাথমিক শিক্ষা পাচ্ছে। প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় খুব ভালোভাবেই স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে করিমুল সাহেব অবহিত। এর আগে এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তনে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। তাঁর বাইক অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে এলাকার স্বাস্থ্য পরিসেবার বেহাল চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে। এর পাশাপাশি তিনি দেখেছেন কীভাবে অশিক্ষার অন্ধকারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শিশু ও কিশোররা। এই চিত্রটা বদলাতে এবার স্কুলছুট এবং দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য সুস্থ ও শিক্ষিত সমাজ গড়া।
এ প্রসঙ্গে করিমুল হক বলেন, ‘একমাত্র শিক্ষাই প্রকৃত মানুষ গড়তে পারে। আমার গ্রাম সহ আশপাশের অনেক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখনও দরিদ্রসীমার নীচে বাস করেন। দু’বেলা ঠিকমতো খাবার না জোটা ওই মানুষগুলোর কাছে সন্তানদের পড়াশোনা শেখানো বিলাসিতার নামান্তর। ফলে বহু শিশু আজও শিক্ষার আলো থেকে অনেকটা দূরে শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে সমাজ এবং অবহেলিত এলাকাগুলির উন্নয়নসাধনের উদ্দেশ্যেই এই প্রচেষ্টা।’
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://bit.ly/2SAOVcW
February 16, 2019 at 11:53AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন