ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি- বিদেশে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগের মামলার আসামি রিমেক্স ফুটওয়্যার ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই মামলায় আব্দুল আজিজের ভাই ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতারের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন আজিজ। এদিকে, গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা এ প্রযোজকের কোনও খোঁজ দিতে পারেন নি জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্মকর্তারা। আজিজের একাধিক মোবাইল নম্বরে ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। দেশের শীর্ষস্থানীয় এ প্রযোজক লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকে বলছেন, আব্দুল আজিজ দেশের বাইরে উড়াল দিয়েছেন। কিন্তু এখনও সেটার সত্যতা পাওয়া যায় নি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার এক কর্মকর্তার সঙ্গে থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জানি না, স্যার কোথায় আছেন। স্যারের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। সপ্তাহখানেক আগে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধানের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আরেক কর্মকর্তা। তারপর তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি বলেও জানান তিনি। গত সপ্তাহে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এম এ কাদের ও তার ভাই আব্দুল আজিজসহ ক্রিসেন্ট গ্রুপ সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি ১৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিলের বিপরীতে জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া অর্থের মধ্যে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ দেশে ফেরত আসেনি। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ৪২২.৪৬ কোটি টাকা, আবদুল আজিজের রিমেক্স ফুটওয়্যার ৪৮১.২৬ কোটি টাকা ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ ১৫.৮৪ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ৯১৯.৫৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাব্যবস্থাপক মো: শহীদুল ইসলাম জানান, মুদ্রাপাচারের প্রমাণ পেয়ে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান (মিরা), ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনিসহ জনতা ব্যাংকের ১৩ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের মধ্যে এম এ কাদেরকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে আছেন। বাকি আসামিদের খোঁজে ইতোমধ্যে শুল্ক গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র ডিজিটাল চলচ্চিত্রের যুগে প্রবেশ করে। ঝকঝকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে শুরুর দিকে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ালেও যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে তোপের মুখে পড়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে এককভাবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অভিযোগও আছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বিরুদ্ধে। এইচ/২৩:০৩/১২ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2SHLXCO
February 13, 2019 at 05:05AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন