কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি- ২০১৯-র লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সব বিজেপি বিরোধী দলকে একজোট করার পরিকল্পনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে ঘটা করে সমাবেশও করেছেন। কিন্তু তার পর থেকে একের পর এক বন্ধুহারা হয়ে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। ব্রিগেড থেকে ফিরেই ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গাঁধীকে তুলে ধরার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এর পর সেই তালিকায় যোগ দেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবও। স্ট্যালিনের মতোই ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তেজস্বী। আরজেডি নেতা তেজস্বীর বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সব থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে কংগ্রেসই। তবে কংগ্রেসকেও বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে চলার উদারতা দেখাতে হবে বলেও সওয়াল করেন তেজস্বী। এর কদিন পরেই রাহুল গাঁধীকে সমর্থন দিতেই পারেন বলে জানান অখিলেশ যাদব। উত্তরপ্রদেশে জোট না হলেও, সরকার গড়তে কংগ্রেসকে সমর্থন দিতেই পারেন বলে জানান সপা নেতা। এবার সেই তালিকায় আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। একটা সময় পর্যন্ত আপ প্রাধানের বক্তব্য ছিল কোনও জোটেই যাবে না দল। কিন্তু এখন কংগ্রেসের হাত ধরতেই আগ্রহ কেজরীবালদের। বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে একটি সমাবেশে তিনি বলেন, জোট হলে দিল্লির কোনও আসনেই জয় পাবে না বিজেপি। সাতটি আসনেই যদি বিজেপিকে একের বদলে এক লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারলেই রুখে দেওয়া যাবে গেরুয়া বাহিনীকে। আগেই জানা গিয়েছিল, নিজেদের হাতে চারটি আসন রেখে তিনটি কংগ্রেসকে ছাড়ার কথা ভাবছে আপ। এটাকে এত দিন জল্পনা বলে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন আপ নেতারা। এদিন সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিয়ে চাঁদনি চকের জনসভায় কেজরীবাল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার ভাবনা স্বীকার করে নেন।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GBgUTh
February 22, 2019 at 12:53AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন